ওসমানীনগর ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে শফিক চৌধুরীর উপর ক্ষোভ ঝাড়লেন আম্বিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৫৪:৩৮,অপরাহ্ন ১৭ জানুয়ারি ২০২৩
ওসমানীনগর প্রতিনিধি:
সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট -২ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরীর উপর ওসমানীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে ক্ষোভ ঝারলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমদ আম্বিয়া। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগ ও তাজপুর কলেজ ছাত্রলীগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলুর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন। জাবেদ আহমদ আম্বিয়ার এমন বক্তব্যে অনুষ্ঠানের পর থেকে ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
জানা গেছে, সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার পশ্চিম গোয়ালাবাজারে ওসমানীনগর আওয়ামী পরিবারের আয়োজনে ওসমানীনগর উপজেলা ও তাজপুর কলেজ ছাত্রলীগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমদ আম্বিয়া। প্রধান বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নুরুল ইসলাম নূর মিয়া। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রুকন আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন, যুক্তরাজ্য কমিউনিটি নেতা রকিব আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে শফিকুর রহমান চৌধুরীর উপর বিভিন্ন অভিযোগ এনে জাবেদ আহমদ আম্বিয়া বলেন, আমরা আর শফিকুর রহমান চৌধুরীর বলয়ে নেই। আমরা আর উনার সাদের কামলা হতে চাই না। শফিকুর রহমানকে ওসমানীনগর-বিশ্বনাথে এনেছি আমরা। উনার হয়ে রাত দিন কাজ করেছি, কিন্তু বিনিময়ে আমরা ব্যবহার হয়েছি মাত্র। উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে তিনি যে নাটকীয়তা করেছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ওসমানীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের জন্য জেলা ছাত্রলীগ উদ্যোগ নিলে আমরা আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলুসহ শফিকুর রহমান চৌধুরীর বাসায় যাই এবং সকলের মতামতে একজনের নাম প্রস্থাব করা হয়। সব কিছু ঠিকটাক থাকলেও আফজালুর রহমান চৌধুরী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে দেখা করে তিনি আরো একাধিক ছাত্রলীগ নেতা কর্মীর নাম প্রস্থাব করেন। আমি যুক্তরাজ্যে চলে যাওয়ার পর জানতে পারি দ্রæত ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে। যুক্তরাজ্যে তখন শফিকুর রহমান চৌধুরীর সাথে দেখা করলে তিনি এই বিষয়ে গুরুত্ব দেননি। আমি জানতে পারি তিনি গোপনে উপজেলা সেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি চঞ্চল পালের মনোনিত একজনের নাম প্রস্থাব করেছেন জেলা ছাত্রলীগের কাছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন কৌশলে আমরা সেই ছাত্রলীগ নেতাকেই ছাত্রলীগের কমিটিতে আনি। কিন্তু শফিকুর রহমান আমাদের কথা দিয়ে কথা রাখেননি। ছাত্রলীগের কমিটি প্রকাশ হলে সেখানে আমরা দেখতে পাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমানের পি.এস এবং উনার ফার্মেসীর কর্মচারীও রয়েছেন ছাত্রলীগের কমিটিতে। ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে এমন ভাবে কমিটি গঠন করার পায়তারা ছিলো তাদের।
অনুষ্ঠানে জাবেদ আহমদ আম্বিয়া বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব সিলেট -২ আসনে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতার হাতে নৌকা প্রতীক দিন। যাকে নৌকা দিলে আমরা সাচ্ছন্দে নৌকার পক্ষে কাজ করতে পারবো।
জেলা ছাত্রলীগ নেতা মাহবুব আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য মাহফুজুল হক আখলু, জেলা যুবলীগ নেতা কিবরিয়া মিয়া, উপজেলা যুবলীগ নেতা নানু মিয়া, গয়াছ মিয়া, গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হেলাল আহমদ, সিলেট মহানগর শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনাম মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক আমজাদ হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপজেলা এবং কলেজ ছাত্রলীগের ২২জন নেতাকে সংবর্ধনা প্রধান করা হয়।