সিলেটে জঙ্গি সম্পৃক্ততায় গ্রেফতার কে এই রাফাত?

সুরমা নিউজ ডেস্ক:

জঙ্গি সংগঠন আনসার উল্লাহ ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) সিলেট আঞ্চলিক শাখার সমন্বয়ক ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম।

বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে সিলেট থেকে তাকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিট।

গ্রেফতারের বিষয়টি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত ক0রা হয়েছে ।

গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কে এই ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহ? যাকে ধরতে সরাসরি ঢাকা থেকে স্পেশাল টিম সিলেটে এলো এবং তাকে গ্রেফতার করে সরাসরি ঢাকায় নিয়ে গেলো।

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিট সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ডা. রাফাত জামায়াতের কেন্দ্রয়য় আমির ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বাসিন্দা ডা. শফিকুর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন থেকে জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কয়েক বছর থেকে সিলেটে কেউ হিজরতের নামে ঘর ছাড়া, কেউবা ঘরে বলে বের হচ্ছেন, আবার কেউ বা না বলে। সেইসব তরুণ ধর্মভীরু ছেলেদের জিহাদী চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করে হিজরতের নামে ঘর থেকে নিয়ে শেল্টার দিতো ডা. রাফাত। তবে বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপর থাকায় অনেকেই বাড়ি ফিরে এলেও পরবর্তীতে তিনি আবার হিজরতের কথা বলে নিয়ে যেতো এবং তাদেরকে নিয়ে বৈঠকে বসতো।

সূত্রটি আরও জানায়, জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) সিলেট আঞ্চলিক শাখার সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলো ডা. রাফাত। তিনি ২০২১ সালে আরাকানে রোহিঙ্গাদের পক্ষে জিহাদ করার জন্য আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি (এআরএসএ) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও) উভয় সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করে হিজরত করেন।

দীর্ঘদিন থেকেই তিনি তরুণ ধর্মভীরু ছেলেদের জিহাদী চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করার জন্য দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

এছাড়াও তিনি বান্দরবনের নাইক্ষংছড়ি সীমান্তে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও) নেতাদের সাথে বৈঠক করে।

২০২১ সালের জুলাই মাসে রাফাতের নেতৃত্বে সিলেট থেকে ১১জন একসাথে আরাকানে যাওয়ার জন্য হিজরত করেন।

তিনি সিলেটের আততাকওয়া নামক মসজিদে নিয়মিত সংগঠনের লোকজনদের সাথে সভায় মিলিত হতেন।

এছাড়া সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সামনে স্ত্রী ধর্ষনের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে রাফাতের নেতৃত্বে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের অতিরিক্ত পিপি রঞ্জিত চন্দ্র সরকার এডভােকেটকে হত্যার পরিকল্পনাও করেন। সম্প্রতি তাদের সংগঠনের সদস্য সিলেট সরকারী কলেজের স্নাতক (সম্মান) ছাত্র ও বিয়ানীবাজার থানার বৈরাগীবাজারের বাসিন্দা সেজাদুল ইসলাম সাহাব আনিস জঙ্গীরা যাকে ইসা নামে চেনে তাকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে। আদালতে কাছে দেয়া তার স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দিতে সে রঞ্জিত সরকারকে হত্যার ছক একেছে বলে জানায়। সে মিশন সম্পন্ন করতে ছুরিও কিনে রেখেছে।

সিলেট প্রতিদিন