অবিবেচক গাড়ি চালকদের যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে ব্যতিক্রমী সাইনবোর্ড!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১২:০৫,অপরাহ্ন ২০ অক্টোবর ২০২২
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :
এধরণের ‘সাইনবোর্ড’ আগে খুব একটা দেখা যায়নি। কেননা এরূপ সাইনবোর্ড সচরাচর আমাদের চোখে পড়ে না।
‘গাড়ি পার্কিং নিষেধ’ এবং ‘হাত জোড় করে বলছি গাড়ি ঘুরাবে না’ – চলার পথে এমন সাইনবোর্ডে হঠাৎ চোখ আটকে যায়। সাইনবোর্ডে আবেগময় ভাষার ব্যবহার। এ ব্যতিক্রমী আবেদন আলোচনার দাবি রাখে।
বস্তত গৃহকর্তা বা ওই বাড়ির এক বা একাধিক ব্যক্তিরা কতটা যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে শেষতক এমন মিনতিভরা সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিতে পারেন! সবার দৃষ্টি যাতে আকর্ষণ হয়, তার জন্যে সীমানাপ্রাচীর থেকে ওপরে গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে আটকানোর এই ব্যবস্থা।
শুধু কি তা-ই? সেখানে ব্যবহৃত ভাষারও কী সানুনয় আবেগময়ী প্রার্থনা! যা দেখা মাত্রই প্রশ্ন জাগে, এত মিনতির অনুরোধের কারণটা আসলে কী?
বিষয়টির গভীরে ঢুকে একটু বুঝতে ইচ্ছে করে এমন অনুরোধের পরবর্তী কার্যকর ব্যবস্থা আসলে কী? মিনতিভরা এমন আকুতির সাইনবোর্ড দেখেও যদি তাদের হৃদয় না গলে তাহলে তারা বোধহীন, বিবেকহীন গাড়িচালকের দল! গৃহকর্তার এমন উদ্যোগের প্রতি সাড়া না দিয়ে বা সমর্থন না জানিয়ে তার প্রতি বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শনের সামিল।
যারা টাঙানো এই সাইনবোর্ডের পাশেই যখন-তখন গাড়ি ঘুড়িয়ে সেই বাড়ির সদস্যদের যাতায়াতে তাৎক্ষণিক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।
সম্প্রতি মৌলভীবারের শ্রীমঙ্গল শহরের একটি আবাসিক এলাকায় এমন ব্যতিক্রমী সাইনবোর্ডে আটকে যায় দৃষ্টি। এই সাইনবোর্ড বা ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনটি অনেক দিন ধরেই শোভা পাচ্ছে বাড়ির সামনে।
এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই আবাসিক এলাকার ভেতর দিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ব্যাটারিচালিত টমটম/ইজিবাইক এবং প্যাডেলচালিত রিকশা নিয়মিত যাতায়াত করে। তার মাঝে মোটরবাইক, কার, মাইক্রো প্রভৃতি এসে এই এলাকার তীব্র যানজটকে আরো দীর্ঘস্থায়ী ও যন্ত্রণাদায়ক করে তুলে। আবাসিক এলাকার লোকজন বাড়ি থেকে স্বাভাবিকভাবে বেরুতে পারেন না।সবচেয়ে বেশি অসুবিধার মাঝে পড়েন যাদের গাড়ি আছে তারা।
আবাসিক এলাকার এ সড়কটাতে যখন-তখন লেগে থাকা তীব্র যানজটের কারণে বাড়ির মালিকরা স্বাচ্ছন্দে নিজেদের গাড়ি বের করতে পারেন না। ওই ব্যতিক্রমী সাইনবোর্ডের পাশে কোনো কোনো চালক আবার গাড়ি ঘুরানোর সময় প্রধান ফটকে এসে সজোরে ধাক্কা লাগিয়ে থাকেন এবং গেইটটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ক্ষতির সম্মুখিনও হয়। মূলত তীব্র যানজট এবং অনাকাঙ্খিতভাবে প্রধানফটকের ধাক্কা থেকে রক্ষা পেতেই এমন ব্যতিক্রমী আবেগময় এই সাইনবোর্ড টানিয়েছেন বাড়ির মালিক একথা জানালেন।