ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাচন : নৌকার জন্য লড়াই
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪৫:৫৩,অপরাহ্ন ০৩ অক্টোবর ২০২২
সুরমা নিউজঃ
সবাই ঢাকায়। চূড়ান্ত লবিং। নৌকার জন্য লড়াই। নৌকা পেলেই পাস- এমন ধারণা প্রার্থীদের। এ কারণে নৌকার প্রার্থী হতে চালিয়ে যাচ্ছেন চূড়ান্ত চেষ্টা। এ নিয়ে এলাকায় সরগরম। নৌকা পেতে অনেক সম্ভাব্য প্রার্থীরাও ঢাকায় অবস্থান করছেন। একই সঙ্গে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারাও ছুটে গেছেন ঢাকায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর স্মৃতিবিজড়িত প্রবাসী অধ্যুষিত ওসমানীনগর।
ওসমানীনগর উপজেলায় এবার দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে এ এলাকার নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ বেশি। আগামী ২রা নভেম্বর এ দুটি এলাকায় নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে নানা মেরূকরণ দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী একক ভাবে ছাড় পাচ্ছেন না। শক্ত লড়াই গড়ে তোলার আভাস দিয়েছেন স্বতন্ত্ররাও। তবে নৌকার টিকিট না পেলেও প্রবাসীদের কেউ কেউ স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকতে পারেন বলে দলীয় নেতারা জানিয়েছেন। ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেতে লড়াইয়ে নেমেছেন ৬ নেতা। গত ২২শে সেপ্টেম্বর ওসমানীনগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় মোট ৬ জন প্রার্থী নিজেরাই নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। এর মধ্যে রয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান নাজলু, যুগ্ম সম্পাদক জাবেদ আহমদ আম্বিয়া ও ওসমানীনগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুর রহমান সোহেল।
দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, জগলু চৌধুরী গতবার বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারণে এবার নৌকা পাওয়া তার জন্য চ্যালেঞ্জ হবে। তবে- নৌকার প্রার্থী হলে তিনি ফ্যাক্টর হতে পারেন। গতবার তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও ৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন। তবে- সুযোগ রয়েছে জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপির। নৌকা পেলে তিনিও জয়ের মুখ দেখতে পারেন বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। গতবার নৌকার টিকিট পেয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান। কিন্তু নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় তিনি পরাজিত হন। দলের নেতারা জানিয়েছেন, দলীয় ভাবে আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও ভোটের মানুষ হিসেবে তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। এছাড়া আলোচনায় আছে ওসমানীনগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান নাজলুর নামও। নাজলু নৌকার টিকিট পেতে সবচেয়ে বেশি লবিংয়ে ব্যস্ত। এবার নৌকার টিকিট তার জন্য চ্যালেঞ্জের বলে জানিয়েছেন তার অনুসারীরা। জাবেদ আহমদ আম্বিয়া ওসমানীনগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। তরুণ নেতা হলেও রাজনৈতিক মাঠে তিনি এরই মধ্যে তার অবস্থান সুসংহত করেছেন। আটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন বলে জানিয়েছেন। দলীয় প্রতীক নৌকার জন্য তিনিও ঢাকায় অবস্থান করছেন। এছাড়া তফসিল ঘোষনার অনেক আগে থেকেই নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন ওসমানীনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুর রহমান সোহেল। বুক ভরা আশা নিয়ে তিনিও তাকিয়ে আছেন দলের হাইকমান্ডের দিকে।