প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখেন বাবা
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১৭:৩০,অপরাহ্ন ০২ অক্টোবর ২০২২
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
বিষ্কুটের প্যাকেটের সূত্রধরে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন রাতে মেয়ে পপি সরকার (১২) মৃগী রোগে আক্রান্ত হলে পিতা নিজেই মেয়ের গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর বসতঘরের পাশে বাগানের গাছে লাশ ঝুলিয়ে রাখেন।
পর দিন সকালে হত্যার ঘটনা সাজিয়ে লাশ বাগানে পাওয়া গেছে বলে বাড়ির মালিক ও স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ আশপাশের লোকজনকে জানান ঘাতক পিতা।
কুলাউড়ার আলোচিত এই হত্যাকান্ডের ঘটনার বর্ণনা দেন ঘাতক পিতা দিগিন্দ নম সরকার। তিনি শনিবার (১ অক্টোবর) মৌলভীবাজার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নিজ মেয়েকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। জানা যায়, ২৭ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে বসত ঘরের দক্ষিন পাশে গাছে ঝোলানো অবস্থায় পপির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তদন্তে নামে পুলিশ। পিতার দায়ের করা মামলায় একই গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবেশি সুরমান মিয়া ও কাজল মিয়াকে আসামি করা হয়। সুরমান মিয়াকে আটক করে্আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।
এদিকে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেকের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম এবং এসআই হারুন অর রশিদ মামলার অধিকতর তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পারেন- বিস্কুটের প্যাকেট মৃত পপির বাবা দিগিন্দ সরকারই ক্রয় করেন। এজাহারে মিথ্যা তথ্য দেখে সন্দেহ হলে পরবর্তীতে নিহত পপি সরকারের বাবা দিগিন্দকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে দিগিন্দ স্বীকার করে যে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নিজেই হত্যা করেছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক বলেন, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের প্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করে শনিবার বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে দিগিন্দ নম সরকার। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালত আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
শ্যামল সিলেট