কুলাউড়ায় কিশোরীর লাশ উদ্ধার, হত্যা নাকি আত্মহত্যা?
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১৫:০৪,অপরাহ্ন ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
কুলাউড়ার পৃথিমপাশায় এক কিশোরীর ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
স্বজনরা বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন মেয়ে (১২) টি ঘরে নেই। খোঁজাখুজির করে তাদের ছোট অন্য মেয়ে বাড়ির পাশে গাছ বাগানের এক পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখে। বাবা-মা সবাইকে খবর দিলে লোকজন এসে লাশ দেখতে পান। এসময় তার গলায় ওড়না পেছানো অবস্থায় মাটিতে পড়া ছিল। সুলতানপুর এলাকার সাবেক প্রাইমারী স্কুল প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন চৌধুরীর বাড়ির বাহিরের একটি ঘরে মেয়ের বাবাকে বসবাস করতে দেন। গরীবলোক হিসেবে তাকে থাকতে দিয়েছিলেন তিনি। দিগেন্দ্র সরকারের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামে। সে পেশায় একজন কুচিয়া মাছ ব্যবসায়ী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, মেয়েটির পিতা মাদকাসক্ত। প্রায় সময়ই ছোট ছোট বাচ্চা ও তার স্ত্রীকে মারধোর করতো। মেয়েটি মৃগী রোগী ছিল বলেও জানা যায়। অনেকে ধারণা করছেন মেয়েটির বাবা অন্যদের ফাঁসাতে মেয়েটিকে মেরে ফেলতে পারে।
মেয়েটির বাবা দিগেন্দ্র সরকার মেয়েটি মৃগী রোগী জানিয়ে বলেন, এখন মেয়েটি অনেকটা সুস্থ্য ছিল, তবে উপরী বা জিনের ধরা আছে। সকালে তার মেয়েকে ঘরে না পেয়ে খুঁজতে থাকলে বাহিরে মেয়ের লাশ পান তিনি। তিনি বলেন, এর আগেও তার মেয়ের সাথে ধর্ষণ চেষ্ঠার একটি ঘটনা ঘটেছিল, সেটা স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন তার ও তার স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা দিয়ে শেষ করেছেন।
তিনি বলেন, প্রায় সময় একই গ্রামের কাজল নামে এক লোক তার মেয়েকে দেখলেই উত্যক্ত ও হুমকি দিত। তিনি আরও বলেন, কাজল তার মেয়েকে দেখলেই মেরে ফেলবে বলতো। তিনি ও তার স্ত্রী কাজলকে দায়ী করছেন।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন তার উপর আণীত অভিযোগ অস্বীকার করেন, তিনি ধর্ষণ চেষ্ঠার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
কুলাউড়া থানার এসআই হারুন উর রশিদ জানান, ছুরতহাল রিপোর্টে গায়ে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে মেয়েটি গলায় ফাঁস লাগানো ছিল এবং উপুড় হয়ে থাকায় নাকে-মুখে রক্ত বেরিয়েছে। তবে তিনি বলেন, ময়না তদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।