জাপায় আরও নাটকীয়তা?
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৩:৩৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
একের পর এক নাটকীয়তা সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিতে। নির্বাচন সামনে আসায় এখন দলটির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বিষয়টি ক্রমেই প্রকাশ হচ্ছে। দলটির নেতাদের দাবি নির্বাচন সামনে আসায় একটি পক্ষ জাতীয় পার্টিকে নিয়ে খেলছে। তবে সেই পক্ষটি কারা তা খোলাসা করছেন না। কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, যত চেষ্টাই হোক এবার আর অতীতের মতো কিছু হবে না। জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ থেকেই নির্বাচন করবে। নির্বাচনে রাজনৈতিক জোটে যাবে কিনা সেটিও নির্বাচনের আগেই ঠিক হবে। তবে দলের একের পর এক নাটকীয়তায় উদ্বিগ্ন দলটির নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, অতীতের মতো নতুন দুর্বিপাকে জাপা পড়ে কিনা এটি নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এদিকে রাজনীতির মাঠেও দলটিকে নিয়ে নানা কৌতূহল।
জাতীয় নির্বাচনে জাপা এককভাবে নির্বাচন করবে নাকি কোনো জোটে যাবে- এটি এক বড় প্রশ্ন। নির্বাচন ঘিরে জাতীয় পার্টিতে আরও নাটকীয়তা দেখা যাবে কিনা- এমন প্রশ্নও আছে অনেকের মাঝে। সর্বশেষ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতার পদ থেকে রওশন এরশাদকে সরানোর আবেদন, রওশন এরশাদপন্থিদের পাল্টা অবস্থান নিয়ে আলোচনার মধ্যেই দলের সব পদ থেকে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে বহিষ্কার করায় এই প্রশ্ন আরও সামনে এসেছে। যদিও রাঙ্গা তার অব্যাহতি প্রত্যাহার করতে দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুর রহমান চুন্নু জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই রাঙ্গাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অব্যাহতি প্রত্যাহারের দাবি রাঙ্গার: জাতীয় পার্টি থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতা থেকে সরাতে স্পিকারকে চিঠি দেয়াটা অন্যায় হয়েছে, এটা আমি একটা গণমাধ্যমে বলায় উনি (জিএম কাদের) আমাকে প্রেসিডিয়াম থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতাকে সরাতে একটা এজেন্ডা দিতে হয়। কাদের সাহেব সভাপতি, তিনি এই চিঠিতে স্বাক্ষর করবেন। তা না করে আমাকে বললেন, তুমি স্বাক্ষর করে দাও, তার কথা আমি শুধু পালন করেছি। দল থেকে অব্যাহতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমি একটা দল করবো, কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেবে- তা কখনো হতে পারে না। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রাঙ্গা বলেন, আমি চাই দল না ভাঙ্গুক। এরশাদ সাহেব না থাকার কারণে জিএম কাদের রওশন এরশাদের সঙ্গে বসে মীমাংসা করুক। এ জন্য যদি আমাকে দল থেকে মনোনয়ন নাও দেয়া হয় তাতে আমি কষ্ট পাবো না। তিনি বলেন, সুষ্ঠুভাবে যদি জাতীয় পার্টিকে চলতে না দেয়া হয়, গণতান্ত্রিক উপায়ে যদি চলতে দেয়া না হয় তাহলে আমি এই দলের সঙ্গে আর থাকবো না। অন্য কোনো দলও আমি আর করবো না। পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গেই থাকবো।
রওশন এরশাদকে মায়ের থেকেও বেশি শ্রদ্ধা করেন জানিয়ে তিনি বলেন, সংসদীয় বিরোধী দলের নেতা থেকে তাকে সরানোর চিঠিতে বিরোধী দলীয় চিফের স্বাক্ষর আমি করেছি। আমাকে তিনি ভুল বুঝেছেন। আমাকে যা বলা হয়েছে, তাই করেছি। ওইদিন আমি শক্ত অবস্থানে থাকলে নতুন চিফ হুইপ সিলেক্ট করে তাকে দিয়ে করাতে পারতাম, তা আমি করিনি। দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঝগড়া করে কখনো টিকে থাকা যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সব থেকে বেশি আসন ছিল রংপুরে। আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে বলেছিলাম রংপুরের ২২টি আসনের মধ্যে আমি যদি ২১ আসন আপনাকে এনে দিতে না পারি তাহলে আমি দল করবো না, রিটায়ার্ড করে চলে যাবো। আমাকে শুধু দায়িত্ব দেন। জিএম কাদেরের সঙ্গে সারাদিন মৌমাছির মতো কিছু লোক থাকে আর কু-পরামর্শ দেয়। জাতীয় পার্টি বিএনপি’র দিকে ঝুঁকছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দলের প্রেসিডিয়াম ও কো- চেয়ারম্যান আছেন, তারা এই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমরা সিট ভাগাভাগি করে আসছিলাম। এরশাদ সাহেবও তাই করেছেন। ইদানীং আমরা ২-৩ মাস ধরে লক্ষ্য করছি, সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করছে, যার সব কিছুতেই বিরোধী দলের আপত্তি। আমাদের একজন মহিলা এমপিকে ডেকে দলের একজন বলেছে, যদি তুমি পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে যাও তাহলে তোমাকে নমিনেশন দেয়া হবে না।
আমি তার নাম বলবো না। উপরে থুতু ফেলতে চাই না। তিনি আরও বলেন, একটা দল যদি ৮ বার ভাঙে তাহলে সেই দলে কী অবস্থা বিরাজ করে। আমার মনে হয় আগামী দিনে দুটি দল বাদে আর কোনো দল থাকবে না। কোন দুটি দল তা আমি বলবো না, জাতীয় পার্টি তার মধ্যে নেই। আমাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, এতে আমি অসুখী নই। সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য রাঙ্গাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে-চুন্নু : ওদিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্যই মশিউর রহমান রাঙ্গাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গেল এক বছর ধরে গণমাধ্যম, সংসদ ও বিভিন্ন ফোরামে মশিউর রহমান রাঙ্গা সংগঠনের নীতি ও অবস্থানবিরোধী কথা বলছিলেন। গেল এক মাস আগেও এমন একটি অবস্থার প্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রাঙ্গা। তখন সংগঠনবিরোধী কোনো কাজ করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। গতকাল বিকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, প্রায় এক বছর ধরে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বিদেশে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া তিনি হঠাৎ করে নভেম্বরে একটি কাউন্সিল ঘোষণা করেছেন। তিনি আহ্বায়ক হয়ে জাতীয় পার্টির কো- চেয়ারম্যানবৃন্দদের যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। অথচ, আমরা কেউই এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
আবার যাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে তিনি জাতীয় পার্টির প্রাথমিক সদস্যও নন। আবার বিরোধীদলীয় নেতার অনুপস্থিতিতে সংসদের অনেক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। অপরদিকে, কাউন্সিল আহ্বানের এখতিয়ার বেগম রওশন এরশাদের নেই। তার সঙ্গে কথা হয়েছিল, আমরা তাকে পরের দিন কাউন্সিল আহ্বানের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি এখতিয়ারবহির্ভূত কাউন্সিল আহ্বানের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করেননি। তাই সংসদীয় দলের সভায় জাতীয় পার্টির ২৬ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২৪ জনই এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হন। ২৩ জন উপস্থিত থেকে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করার সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেছেন। আর অপর একজন সংসদ সদস্য বিদেশ থাকার কারণে ফোন করে তার সম্মতির কথা জানিয়েছেন। সেই চিঠি চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গার স্বাক্ষরে স্পিকারের নিকট পৌঁছে দেয়া হয়েছে। মশিউর রহমান রাঙ্গা আবারো জাতীয় পার্টিতে ফিরতে পারবেন কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যদি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান চান তবেই তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে ফিরতে পারবেন। কারণ, কাউকে পার্টিতে ফেরানোর এখতিয়ার শুধুমাত্র জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের। এসময় তিনি বলেন, কেউ দল থেকে চলে যেতে পারে তাতে দলের কোনো ক্ষতি হয় না।
অনেকেই চলে গেছেন কিন্তু জাতীয় পার্টি তার স্থানেই রয়েছে। জাতীয় পার্টিকে কেউ ভাঙতে পারবে না। সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ পদে মশিউর রহমান রাঙ্গা থাকছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্যদের নিয়ে আমরা বৈঠক করবো, বৈঠকে পার্টির চেয়ারম্যান যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই কার্যকর হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, ফখরুল ইমাম, সফিকুল ইসলাম সেন্টু, এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান প্রমুখ। রাঙ্গার অব্যাহতি নিয়ে রংপুর উত্তপ্ত স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে জানান, রংপুরে জাতীয় পার্টির মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। একদিকে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি, অপরদিকে রাঙ্গার মটর মালিক সমিতির কয়েকজন চেইন মাস্টারসহ কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। জিএম কাদের ও রাঙ্গার পাল্টাপাল্টি কুশপুত্তলিকা দাহসহ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। নগরীতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেয়া নিয়ে রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সিদ্ধান্ত মেনে চলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ সময় মসিউর রহমান রাঙ্গাকে জিএম কাদেরের কাছে ক্ষমা চেয়ে দলে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়। রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর জাপার সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির আহমেদ, জেলা জাপা’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাপা’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনসহ অন্যরা। সেইসঙ্গে রংপুরে জিএম কাদেরকে নামতে দেয়া হবে না মসিউর রহমান রাঙ্গার এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বাধা এলে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন উপস্থিত নেতাকর্মীরা। সভা শেষ করে দলীয় নেতাকর্মীরা চলে গেলে রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর জাহাজ কোম্পানী মোড়ে জিএম কাদেরের কুশপুত্তলিকা দাহ করে রাঙ্গার সমর্থক মটর মালিক সমিতির চেইন মাস্টাররা। এ সময় তারা স্লোগান দেয়, রাঙ্গা ভাইয়ের শত্রুরা হুঁশিয়ার সাবধান, জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো।’ কর্মসূচি পালনকালে জাহাজ কোম্পানী মোড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এরপর বিক্ষোভকারীরা জাহাজ কোম্পানী মোড় থেকে একটি মিছিল নিয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে অংশ নেন জেলা মটর মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নানসহ অর্ধশত রাঙ্গা সমর্থকরা। জিএম কাদেরের কুশপুত্তলিকা দাহের খবর পেয়ে জাপা নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জাহাজ কোম্পানী মোড়ে ছুটে আসে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ইট-পাটকেল নিক্ষেপের কারণে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মহানগর জাপা’র সভাপতি সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি’র মটর মালিক সমিতির ছেলেরা চোরের মতো এসে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। এ ঘটনায় আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমরা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি করি, কারও ব্যক্তিগত দল করি না। আমরা এরশাদের সৈনিক, কারও পা-চাটা গোলাম না। জিএম কাদের রংপুরে আসবেন বীরদর্পে। জাতীয় পার্টির নেতারা অতন্দ্র প্রহরীর মতো তাকে সুরক্ষা দেবে। রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মাহফুজার রহমান বলেন, নগরীতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মসিউর রহমান রাঙ্গার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। গতকাল বিকালে জেলা জাতীয় পার্টি কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জাপা নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন মোড় প্রদক্ষিণ শেষে মিশন মোড় গোল চত্বরে মসিউর রহমান রাঙ্গার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে রাঙ্গার কুশপুত্তলিকা দাহ করে। এ সময় জাপা নেতা নজরুল ইসলাম বাদশা, আনছার আলী, আলমঙ্গীর হোসেন, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে বক্তব্য দেন।