সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের ‘ধর্মঘট’ স্থগিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২৬:১৯,অপরাহ্ন ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
দিনভর দুর্ভোগের পর রাতে কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সাথে বৈঠক শেষে রাত ১০ টায় এমন তথ্য জানিয়েছেন সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন।
তিনি বলেন, প্রশাসন আমাদের দাবি পুরণের আশ্বাস দিয়েছেন একইসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে কর্মবিরতি স্থগিতের অনুরোধ দিয়েছেন। তাদের আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা কর্মবিরতি স্থগিত করছি।
এরআগে মঙ্গলবার রাত ৮টায় সিলেট সার্কিট হাউসে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে উপস্থিত আছেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ও ‘সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ’র নেতৃবৃন্দ।
বৈঠক শেষে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন ১৫ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের সব দাবি মেনে নেবেন এবং আগামীকাল থেকে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করবেন। তাদের আশ্বাসে প্রেক্ষিতে এবং এসএসসি পরীক্ষা ও দুর্গা পূজার কথা বিবেচনা করে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মবিরতি স্থগিত রাখছি। আশা করছি এই সময়ের মধ্যে দাবিগুলো পুরণ হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে পাঁচ দফা দাবিতে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন পরিবহন শ্রমিকরা। বুধবার থেকে বিভাগের ৪ জেলায় এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।
পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে দিনভর কার্যত অচল ছিলো সিলেট। সকাল থেকে সিলেটের বিভিন্ন মোড়ে ও নগরের প্রবেশ পথে লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নেন পরিবহন শ্রমিকরা। ব্যক্তিগত গাড়ি, পন্যবাহি গাড়ি এমনকি বিআরটিসি বাস চলাচলেও বাধা দেন তারা। শ্রমিকদের পিকেটিংয়ের কারনে রাতপর্যন্ত কোন গাড়িই সড়কে চলাচল করতে পারে নি।
বন্ধ ছিলো সিএনজি চালিত অটোরিকশাও। এতে চরম দুর্ভোগে পরেন যাত্রীরা। দুরপাল্লার যাত্রীদের পাশাপাশি নগরের ভেতরে চলাচলকারী যাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
তাদের পাঁচটি দাবি হলো:
ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি, রেকারিং বাণিজ্য ও মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা আদায় বন্ধ, মহানগর পুলিশ কমিশনার, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার ও অতিরিক্ত উপকমিশনারকে প্রত্যাহার;
গাড়ি ফিটনেস মামলা সঠিকভাবে করা, সিলেট শ্রম আদালতে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোকে হয়রানি বন্ধ এবং আদালত থেকে শ্রমিক প্রতিনিধি নাজমুল আলম রোমেনকে প্রত্যাহার;
হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বন্ধ পাথর কোয়ারি খুলে দিতে হবে;
সিলেটের সব ভাঙা সড়ক সংস্কার;
সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি বন্ধ করতে হবে। অটোবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ডাম্পিং করা গাড়ি এবং অন্য জেলা থেকে আগত গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে।