মৌলভীবাজারে আমন ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আমন ধানে ব্যাপক হারে মাজরা পোকার আক্রমন শুরু হয়েছে। কীটনাশক স্প্রে করেও কোন সুফল পাচ্ছে না কৃষকেরা। ফলে আমন ধানের ভালো ফলন নিয়ে শঙ্কার পাশাপাশি পোকার আক্রমণ থেকে ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার কৃষকেরা। এইসব এলাকায় কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের ধান গাছে কীটনাশক ছিটানোর পরামর্শ দিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলায় ১৫ হাজার ৩৩৬হেক্টর জমিতে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১১ হাজার ২৫৭ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। মাজরা পোকার আক্রমনে রোপণকৃত আমন ধানের চারা প্রায় ১৫ হেক্টর জমির ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে কৃষকরা বলছেন, চলতি আমন মৌসুমে ইউরিয়া সারের দাম ও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি এবং আনুসাঙ্গিক যে ব্যয় হবে, তাতে উৎপাদন ব্যয় উঠবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বেশি সমস্যায় বর্গাচাষিরা। চলতি আমন মৌসুমে ধানের মূল্য না বাড়লে লোকসান মুখে পড়বেন কৃষকরা।
কৃখশ আমান মিয়া, বাদল দাস বলেন, আমন রোপনের পর ধান চারার রঙ কালচে হওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের পোকায় আক্রমণ করে ধানের মাইন কেটে দিচ্ছে। ফসল রক্ষার জন্য কৃষকেরা এখন বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক দিচ্ছিন।
উপজেলার সদর ইউনিয়ন, সিন্দুরখান ইউনিয়ন, আশীদ্রোন ইউনিয়ন, ঘুরে দেখা যায়, আমন ধানের গাছে মাজরা পোকায় আক্রমন করেছে। পোকায় ধানের মাইন কেটে দিচ্ছে ও পাতা শুকিয়ে বাদামি রং
ধারণ করছে। পোকা থেকে ধান রক্ষার জন্য কৃষকেরা বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক প্রয়োগ করে কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা।
আশীদ্রোন ইউনিয়নের খোশবাস গ্রামের কৃষক রমজান মিয়া বলেন, আমি প্রায় ১০ কিয়ার এবার আমন ধান চাষ করেছি। আমার সব জমিতে মাজরা পোকা আক্রমণ করেছে। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক স্প্রে করেও পোকা দমন করা যাচ্ছে না। চলতি আমন মৌসুমে সার ও ডিজেল তেলের দাম বাড়ায় ও আনুষঙ্গিক খরচসহ আমন ধান ঘরে তুলা পর্যন্ত প্রতি কিয়ারে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হবে। আর জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা।
এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন মোনালিছা সুইটি বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর মাজরা পোকার আক্রমন বেশি। যদি সকল কৃষক এক সাথে তাদের জমিতে খুঠা গেড়ে দেয়, জমিতে মাজরাপোকা আসুক না কেন, বন্ধু ফেচকুন্দা পাখিটা একটা পোকা খেতে পারে। তাহলে আড়াইশত মাজরাপোকার লাভা থেকে আমাদের জমি বাঁচাতে পারে। মাজরাপোকার আক্রমন থেকে কৃষকরা জমিতে যে কীটনাশন প্রয়োগ করে, যাতে ধান গাছের পাতা ভিজে গোড়ায় যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।