মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া গোলা বাংলাদেশে: আতঙ্কে সীমান্তবাসী, সতর্ক বিজিবি
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:০৮:৫৫,অপরাহ্ন ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে এবার পড়ল মিয়ানমারের যুদ্ধবিমানের গোলা।
শনিবার সকালে মিয়ানমারের দুটি যুদ্ধবিমান এবং ফাইটিং হেলিকপ্টার বাংলাদেশ সীমান্তের আকাশ সীমায় প্রবেশ করে।
এরপর ঘুমধুম ইউনিয়নের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রেজু-আমতলী ভিওপির আওতাধীন ৪০ ও ৪১ নাম্বার সীমান্ত পিলার এলাকায় যুদ্ধবিমানের দুটি গোলা পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে বান্দরবানের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কয়েক দিন ধরে মিয়ানমার সীমান্তে যে উত্তেজনা চলছে তা মূলত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে। কিন্তু কয়েক দিন আগে মিয়ানমারের ছোড়া দুটি মর্টার শেলের গোলা এসে পড়েছিল ঘুমধুম সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। আজকেও নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান এবং ফাইটিং হেলিকপ্টার ঢুকে পড়ে। স্থানীয়দের কাছ থেকে জেনেছি- যুদ্ধবিমানের দুটি গোলাও পড়েছে ঘুমধুম সীমান্তে। গুলি ছোড়া হয়েছে ঘুমধুম সীমান্তে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সীমান্তবাসীদের দাবি, ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের পাহাড়ি এলাকায় আরাকান আর্মির শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থান নির্মূল করতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী হামলা চালাচ্ছে কদিন ধরে। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ আরাকান আর্মির মধ্যেই মূলত সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনাগুলো ঘটছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, শনিবার সকালে ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান এবং ফাইটিং হেলিকপ্টার ঢুকে পড়ে। যুদ্ধবিমানের দুটি গোলা এসে পড়েছে সীমান্তের ৪০ ও ৪১ নাম্বার সীমান্ত পিলার এলাকায়। ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া হয়েছে গুলিও। গুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ঘুমধুম, তুমব্রু, রেজু, আমতলী সীমান্ত অঞ্চলের মানুষের মধ্যে। বিজিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সীমান্তবাসীদের আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুমে পড়া মর্টার শেলগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সীমান্তের নিরাপত্তায় বিজিবি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত সতর্কবস্থায় রয়েছে। মর্টার শেল পড়ার বিষয়টি সরকারকে জানানো হয়েছে। দেশের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি বিবোচনা করছে সরকার।