চা শ্রমিকদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৪৬:৪৫,অপরাহ্ন ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :
শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকদের সঙ্গে বহু প্রতিক্ষিত ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় চা শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেন প্রধানমন্ত্রী।
জেলার কমলগঞ্জের পাত্রখোলা চা বাগানের দলই ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রিতা পানিতা ও সোনামনি রাজ হংসিমান নামের দুই নারী চা শ্রমিক কথা বলেন। বক্তৃতার সময় আবেগাপ্লত হয়ে পড়েন এ দু’জনই। প্রধানমন্ত্রী এভাবে সরাসরি কথা বলায় চাপা কণ্ঠে চোখের জল ফেলে তাঁর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানান তারা। রিতা পানিতা তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের খুব ভালোবাসতেন। আমরা বিশ্বাস করি আপনার বাবার মতো আপনিও আমাদের ভালোবেসে যাবেন। এছাড়াও রিতা পানিতা কমলগঞ্জের বাগানে প্রধানমন্ত্রীকে চায়ের দাওয়াত দেন। দুই নারী চা শ্রমিকের বক্তৃতা শেষে স্থানীয় চা শ্রমিকদের গাওয়া রেকর্ডকৃত দুটি গান প্রধানমন্ত্রীকে শুনানো হয়।
সিলেটে শ্যামলি গোয়ালার তার বক্তব্যে চা শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। চা শ্রমিকদের বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানসহ নাগরিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রীও চা শ্রমিকদের কান্নায় জড়ানো বক্তব্য শুনে অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমার তো বাবা-মা কেউ নেই, আপনারাই আমার সব। আপনাদের সব দাবি পূরণ করা হবে।
মৌলভীবাজারের পাত্রখোলা চা বাগানে শ্রমিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি মতবিনিময় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিরা।
প্রসঙ্গত, চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা ১৮ দিনের কর্মবিরতির পর প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে গত ২৮ আগস্ট ধর্মঘট প্রত্যাহার করে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন। দেশের বৃহত্তর বাগান মালিকদের সাথে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেন।