দিরাইয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির দুই পক্ষের হাতাহাতি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ আগস্ট ২০২২, ১২:৫৫ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। বুধবার দুপুরে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যেরমূল্য বৃদ্ধি, ভোলায় ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি।
মিছিলটি থানা রোডস্থ রেন্টিতলা হতে শুরু করে উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন তারা।
উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি আব্দাই মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান আলোচক ছিলেন- জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মুয়াজ্জির হোসেন সুজনসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশের শেষ পর্যায়ে প্রধান আলোচকের বক্তৃতার শুরুতেই নাছির চৌধুরী ও পাভেল চৌধুরীর সমর্থকরা প্রচন্ড বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হওয়ার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় পথচারী ও স্থানীয় নেতাকর্মীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ অবস্থায় প্রধান আলোচক বক্তৃতা না রেখে করে সমাবেশ শেষ করেন।
জেলা বিএনপির সদস্য ও দলীয় সাংগঠনিক টিমের সদস্য হুমায়ুন কবির তালুকদার বলেন, ‘জেলা বিএনপির নির্দেশনা অনুযায়ী সাংগঠনিক টিমের সকল সদস্যদের বক্তব্য রাখার কথা। অথচ উপজেলা বিএনপির মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ চৌধুরী তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে জেলার নির্দেশনা না মেনেই সমাবেশ পরিচালনা করেন। নির্দেশনার বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বললে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মঈণ উদ্দিন চৌধুরী মাসুক আমাদের নেতাকর্মীদের উপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে কথাবার্তা বলতে থাকেন।
‘তারা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টিম লিডার নজরুল ইসলামকে ভুল বুঝিয়ে সুন্দর সমাবেশকে বানচাল করে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। আমরা তাদেরকে জানিয়ে দিতে চাই দলীয় সাংগঠনিক নিয়ম যারা মানে না তারা দলের কেউ হতে পারে না। আমরা দিরাই শাল্লার জাতীয়তাবাদী পরিবার আমাদের নেতা অ্যাডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেলের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছি।’
দিরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জেলা নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করি। জেলা নেতৃবৃন্দের পরামর্শ অনুযায়ী স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য না দিয়ে শুধু জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশের প্রধান আলোচক যখন বক্তব্য শুরু করেন তখন ইচ্ছে করেই তারা বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে আমাদের সমাবেশ বানচাল করার পায়তারা করে। উপজেলা বিএনপি এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি এবং জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাবো।’