উল্টো সয়াবিন তেলের দাম বাড়লো
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৪:২৫,অপরাহ্ন ২৪ আগস্ট ২০২২
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে পরিশোধন মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন। মঙ্গলবার থেকেই নতুন এ মূল্যহার কার্যকর হবে বলে এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। মিল মালিকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল গ্রাহক পর্যায়ে বিক্রি হবে ১৭৫ টাকায়, যা এর আগে ১৬৬ টাকা নির্ধারিত ছিল। অর্থাৎ, খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে বাড়ছে ৯ টাকা। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৯২ টাকায়, যা এতদিন ১৮৫ টাকা ছিল। বোতলজাত তেলে লিটারে ৭ টাকা দাম বেড়েছে। সয়াবিন তেলের ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হবে ৯৪৫ টাকায়। নতুন সিদ্ধান্তে সয়াবিনের দাম বাড়লেও লিটারে ৭ টাকা কমেছে পাম তেলের দাম। প্রতি লিটার পাম তেল এখন বিক্রি হবে ১৪৫ টাকায়, যা আগে ১৫২ টাকা নির্ধারিত ছিল। সমিতির সচিব নুরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কিছুটা কমলেও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি খরচ বেড়ে গেছে।
সে কারণে আমরা লিটারে দাম ২০ টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৯ টাকা ও বোতলের সয়াবিন তেল লিটারে ৭ টাকা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, দুই বছর ধরে দেশের সয়াবিন তেলের বাজারে অস্থিরতা চলছে।
১০০ টাকা লিটারের সয়াবিন তেলের দাম ওঠে ২০৬ টাকা। বিশ্ববাজারে বাড়তি দামের কারণে এই দর বাড়ানো হয়েছিল। তবে গত কয়েক মাসে বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম ৩২ শতাংশ এবং পাম তেলের দাম ৪৮ শতাংশ কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কমোডিটি এক্সচেঞ্জ শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিশোধিত সয়াবিন তেলের দর উঠেছিল টনপ্রতি ১ হাজার ৯৫০ ডলার। সে সময় প্রতি ডলার ৮৬ টাকা হিসাবে লিটারপ্রতি দর দাঁড়ায় ১৫৩ টাকা। গত জুলাইয়ের এই দর নেমে আসে টনপ্রতি ১ হাজার ৩১৮ ডলারে। ওই সময় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এক প্রতিবেদনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ১০ শতাংশ হারে ভোজ্য তেলের দাম কমানোর জন্য সুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই খুচরা বাজারে প্রতি লিটার তেলের দাম ১৪ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে দেশে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে মিল মালিকরা ফের দাম বাড়ানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে।