মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৫১:৪১,অপরাহ্ন ১৮ আগস্ট ২০২২
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সহচর মরহুম আজিজুর রহমানের ২য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর বাসভবন গুজারাইয়ে স্মরণসভা,শিক্ষাবৃত্তি ও মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকালে তাঁর কবর জিয়ারত করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান ফাউন্ডেশনের আহবায়ক সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব পান্না দত্তের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মৌলভীবাজার রাজনগর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) জাহিদ আকতার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, জেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার খোদেজা আক্তার,পৌর মেয়র মো: ফজলুর রহমান,কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান ।
বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ মরহুম আজিজুর রহমান মৌলভীবাজার জেলার গুজারাই গ্রামের ১৯৪৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।
ছাত্রজীবন থেকে তিনি সক্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সরাসরি নির্দেশনায় ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কারাবরণ করেন তিনি। ওই বছরের ৭ এপ্রিল মুক্তিবাহিনী কর্তৃক জেল ভেঙ্গে সিলেট কারাগার থেকে তাঁকে মুক্ত করা হয়। ২ মে পুনরায় পাকবাহিনী মৌলভীবাজার শহরে প্রবেশ করে বর্বরোচিত দমন পীড়ন চালানোর পর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে আত্মনিয়োগ করেন তিনি। এক পর্যায়ে মুজিবনগর সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আহুত পশ্চিমবঙ্গের বাগডুগায় (দার্জিলিং) প্রথম পার্লামেন্ট অধিবেশনে যোগদান করেন আজিজুর রহমান।
প্রবাসী সরকার কর্তৃক আয়োজিত সামরিক প্রশিক্ষণে সিলেট বিভাগের একমাত্র প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য হিসেবে তিনি সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এবং ৪ নম্বর সেক্টরের রাজনৈতিক কো-অর্ডিনেটর ও কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং গণপরিষদ সদস্য হিসেবে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর শমসেরনগর, ৬ ডিসেম্বর রাজনগর এবং ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মৌলভীবাজারকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন আজিজুর রহমান।
গণপরিষদের এই সদস্য স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য রচিত সংবিধানের একজন স্বাক্ষরকারী। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় সংবিধানের একাদশ ও দ্বাদশ সংশোধনীতে তিনি বিশেষ অবদান রাখেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পরবর্তীতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মৌলভীবাজার জেলায় ১৪ দল ও মহাজোটের সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।