ওসমানীনগরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ আগস্ট ২০২২, ১০:৪০ অপরাহ্ণ
সিলেটের ওসমানীনগরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভিকটিম গত শুক্রবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলা উমরপুর ইউপির সিকন্দরপুর মাইজগাওয়ের মৃত আহাদ মিয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (৩২), একই গ্রামের মৃত তছর মিয়া চৌধুরীর ছেলে সাইফুর রহমান চৌধুরী রানা ও উপজেলার পূর্ব ব্রাহ্মণ গ্রামের মো. আকলু হোসেন লুদু মিয়ার ছেলে মো. কামাল হোসেন (৩৪)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে এক বছর আগে নবীগঞ্জের আউশকান্দি এলাকার রুবেলের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
গত ৩ আগস্ট রুবেল ওই তরুণীকে ফোন করে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং তাকে ওসমানীনগরের সিকন্দরপুর গ্রামে আসতে বলেন। ওই তরুণী কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে ৬ হাজার টাকা নিয়ে বের হয়ে সিকন্দরপুর গ্রামে চলে আসেন। পরে মেয়েটিকে রুবেল তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যান।
কিছুক্ষণ পর রানা ও করিম নামে দুজনকে নিয়ে রুবেল ওই তরুণীর হাত-পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর রাতভর তাকে আটকে রেখে সবাই মিলে ধর্ষণ করেন। ভোরের দিকে তারা তাদের বন্ধু কামাল ও জাহাঙ্গীরকে খবর দেন। তারা দুজন এসে মেয়েটিকে মারধর করে কানের দুলসহ মোবাইল এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা রেখে বের করে দেন।
পরে ওই তরুণী টমটমে বেগমপুর নেমে কান্না করতে থাকলে স্থানীয় আনোয়ার আলী ও আব্দুর রহিম তাকে থানায় নিয়ে যান।
ধর্ষণের শিকার তরুণীর অভিযোগ, আসামি রুবেল, রানা ও করিম তাকে ধর্ষণ করেছেন। আর জাহাঙ্গীর ও কামাল তাদের সহযোগিতা করেছেন। এরপর তার ২০ হাজার টাকার মোবাইল সেট, নগদ পাঁচ হাজার টাকা এবং ২০ হাজার টাকার স্বর্ণের কানের দুলও কেড়ে নেন তারা।
ওই তরুণী বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার পর পুলিশ এক ধর্ষক ও দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। মামলার অন্য দুই আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম মাঈন উদ্দিন।