শাবি ছাত্র খুন : চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন বান্ধবী, ফোনের কললিস্ট ডিলিট!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩৯:৩২,অপরাহ্ন ২৭ জুলাই ২০২২
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
ধস্তাধস্তিতে আহত হয়েছিলেন নিহত শাবি ছাত্র বুলবুল আহমদের সঙ্গে থাকা ছাত্রী মার্জিয়া আক্তার ঊর্মি। ঘটনার পর শাবি প্রশাসন তাকে পার্শ্ববর্তী মাউন্ড এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে। গতকাল বিকাল ৪টায় ওই ছাত্রী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বলে খবর আসে। এ নিয়ে দেখা দেয় রহস্য। পালানোর পর হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বিকাল ৪টা ৬ মিনিটে মোটরসাইকেল যোগে এক যুবকের সঙ্গে মার্জিয়া আক্তার ঊর্মি সুনামগঞ্জ রোড দিয়ে চলে যাচ্ছেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীকে খোঁজে বের করে। তাকে নেয়া হয় প্রক্টর অফিসে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
এসময় সে জানায়- কিলিং মিশনে মাস্ক পরা ৩ জন ছিলেন।
এ ঘটনায় তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে জালালাবদ থানা পুলিশ।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্য, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক আমিনা পারভীন মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টার দিকে জানান, বুলবুলের বান্ধবী ছাত্রীটি জানিয়েছেন, তিনজন মুখোশধারী লোক এসে তাকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে। তিনি আরও জানান, ছাত্রীটি তার মোবাইলের কললিস্টও মুছে ফেলেছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় হত্যাকান্ডের পর ওই ছাত্রী অসুস্থ হলে তাকে আখালিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আজ বিকেল তিনটার দিকে তাকে আমরা হাসপাতালে দেখে এসেছি। কিন্তু বিকালে সে ছাড়পত্র ছাড়াই হাসপাতাল থেকে চলে এসেছে। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তার যাত্রীছউনিতে বসে থাকতে দেখেন পুলিশ সদস্যরা। তারা তাকে প্রক্টরের কার্যালয়ে নিয়ে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখান থেকে তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে আবার প্রক্টরের কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ছাত্রীটির বরাত দিয়ে তিনি জানান, বুলবুল আর ওই ছাত্রী ঘটনাস্থলে বসেছিলেন। হঠাৎ করে সেখানে মুখোশ পরা তিনজন লোক আসে। তারা বুলবুলকে একটু দুরে নিয়ে যায়। তখন ওই ছাত্রী অন্যদিকে তাকিয়ে কাউকে ডাকার চেষ্টা করছিলেন। এরপরই তিনি দেখেন বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করে ওরা সরে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওই ছাত্রীর মোবাইলের কললিস্ট চেক করতে গিয়ে দেখেছেন, সব কললিস্ট ডিলিট করে দিয়েছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানায় হত্যামামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার সকালে সন্দেহভাজন হিসেবে বহিরাগত তিনজনকে পুলিশ আটক করেছে বলে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের জানান।