সিলেটে এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:০২:১১,অপরাহ্ন ২৪ জুলাই ২০২২
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
গত কদিন ধরে সিলেটে তাপমাত্র বৃদ্ধির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে সিলেটে তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে তীব্র গরমে ভোগান্তি বাড়িয়েছে লোডশেডিং। শুরু থেকেই লোডশেডিংয়ের শিডিউল বিপর্যয় চলছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব মিলিয়ে ৮-১০ ঘণ্টাই বিদু্যত্বিভ্রাটে পড়তে হচ্ছে সিলেটবাসীকে। সিলেট নগর থেকে গ্রামাঞ্চল সব স্থানেই বিদ্যুতের একই অবস্থা।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, সিলেট বিভাগের চার জেলায় পিডিবির অধীন গ্রাহক আছেন ৪ লাখ ৮৫ হাজার। অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক প্রায় ১৯ লাখ। সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কাদির শনিবার বিকালে গণমাধ্যমে জানান, সারা বিভাগে ৫৫০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ২৭৮ মেগাওয়াট। প্রধান প্রকৌশলী জানালেন, সিলেট জেলায় এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তিনি জানান, বিভাগীয় নগরীসহ সিলেট জেলার চাহিদা দৈনিক ১৭৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৮৭ মেগাওয়াট। প্রকৌশলীরা মনে করেন, আরো ২০ ভাগ বিদ্যুৎ পাওয়া গেলে অন্তত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় শহরসহ সিলেট জেলার চাহিদা মোটামোটি সামাল দেওয়া যেত। এদিকে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকায় বন্যা-পরিবর্তী সময়ে সিলেটে ব্যবসা-বাণিজ্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
বিদ্যুতের সংকট মোকাবিলায় দেশ জুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ ঘোষিত সূচি অনুযায়ী লোডশেডিং করছে না।
কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে সূচিও ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রাম পর্যায়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছয় থেকে আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। রাতে প্রচণ্ড গরমে লোডশেডিংয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ দিনে-রাতে তিন ঘণ্টাও বিদ্যুৎ দিতে পারছে না।
এদিকে পিডিবির আওতায় ২৯ হাজার গ্রাহক রয়েছে সুনামগঞ্জে। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ প্রয়োজন ৯ মেগাওয়াট। কিন্তু পাঁচ-ছয় মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পিডিবি কর্তৃপক্ষ। তাই শহর এলাকায় লোডশেডিংয়ের শিডিউল মানতে পারলেও শহরতলিতে মানা যাচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।