আবারও কাঁদছে সিলেটের আকাশ, ফের বন্যার শঙ্কা!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৬:৫২,অপরাহ্ন ২৯ জুন ২০২২
সুরমা নিউজ:
প্রায় দুই সপ্তাহের ভয়াবহ বন্যার পর সিলেটে নামতে শুরু করে বন্যার পানি। কিন্তু মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাত সাড়ে আটটার পর থেকে আবারও কাঁদছে সিলেটের আকাশ। পুরো সিলেটজুড়ে ফের বৃষ্টির রাজত্ব। অবিরাম বৃষ্টিতে ইতোমধ্যে সিলেট নগরীর রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও সিলেটের অনেক স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া দেশের প্রায় সব বিভাগেই এ সময় বৃষ্টি হবে। এর ফলে সুরমা,কুশিয়ারাসহ কয়েকটি নদীর পানি বাড়ছে। ফের ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সিলেটের হাওর অঞ্চলে ফের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আজ বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানাচ্ছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়। এটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
পাউবো, সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা বলেন, সিলেটের পাশাপাশি উজানেও বৃষ্টি হচ্ছে। একারণে নদনদীর পানি বাড়ছে।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও এ অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। মৌসুমি বায়ু এখন মোটামুটি সক্রিয়। আর এ জন্য এই বৃষ্টি স্বাভাবিক।
১৫ জুন থেকে সিলেট নগরে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়। পরদিন থেকে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এতে নগরসহ আশপাশের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য স্বজনদের বাসাবাড়িতে অবস্থান করে। ১৭ জুন বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ নেওয়ায় সেনাবাহিনী নামানো হয়। বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে ১৮ জুন সিলেটে ৩০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এটি ছিল সিলেট অঞ্চলে এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, সিলেটসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্য অঞ্চলগুলোর তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়।