ত্রান লাগতো নায়, আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা লাগতো নায়, জাস্ট উদ্ধার করি মেইনরোড়ে দিলেই অইব
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১২:৪৫,অপরাহ্ন ১৮ জুন ২০২২
সুরমা নিউজ:
“ত্রান লাগতো নায়, আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা লাগতো নায়, জাস্ট উদ্ধার করি মেইনরোড়ে দিলেই অইব” সিলেটে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে নিয়ে এরকম একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন, ‘কতটা ভয়াবহ পরিস্থিতি হলে মানুষ এভাবে পোস্ট করে। না জানি কত মায়ের বুক খালি হচ্ছে, কত গবাদি পশু পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। তারা ত্রান চাচ্ছে না , আশ্রয়কেন্দ্রও চাচ্ছে না , শুধু একটু উঁচু জায়গার সন্ধান করছে।’
এদিকে, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এবারের বন্যায় সিলেটে ইতিমধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ পরিস্থিতিতে বন্যার্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে বন্যাকবলিত সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে সেনাবাহিনী। তাদের উদ্ধারে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কাজ শুরু করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করেছেন।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বাসাবাড়িসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে সিলেটে সব নদ নদীর পানি বেড়েই চলেছে। নদীগুলোর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহমান রয়েছে। বিকেল ৩টার হিসাব অনুযায়ী, সুরমার পানি কানাইঘাটে ১২৮ সেন্টিমিটার, সিলেটে সুরমার পানি ৭৭ সেন্টিমিটার, সারি নদীতে ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার বিভিন্ন পয়েন্টেও নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।
এদিকে, গত রাত থেকে সিলেটে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে জনজীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার লোকজন গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয়ের খোঁজে কেবল শহরের দিকে আসছেন। কিন্তু নগর এলাকারও প্রায় অর্ধেকাংশ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। এ অবস্থায়ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে নৌকা যোগে ও পায়ে হেঁটে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।