গোলাপগঞ্জে কেন্দ্র দখল দাঙ্গা-হাঙ্গামা হলেই ‘অ্যাকশন’
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪৮:২৮,অপরাহ্ন ১৪ জুন ২০২২
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
হার্ডলাইনে প্রশাসন। গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে কেন্দ্র দখল বা কোন ধরনের দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে অ্যাকশন নেয়া হবে। প্রয়োজনে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কোন ধরনের অনিয়মকেই প্রশ্রয় দেয়া হবেনা বলে জানিয়েছে নির্বাচন অফিসের নির্ভরযোগ্য সূত্র। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামছে প্রশাসন- এমনটাই জানিয়েছে সূত্রটি।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে প্রার্থী মাত্র দু’জন। একজন আওয়ামী লীগের মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী। অপরজনও আওয়ামী লীগ নেতা। নিউজার্সি আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি সফিক উদ্দিন। তিনি অবশ্য নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন না।
এই উপনির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত কয়েকজন নেতা। কিন্তু সবাইকে ছাড়িয়ে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম ইকবাল আহমদ চৌধুরীর ভাই মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম।
এ নিয়ে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে অনৈক্য আছে। আছে দলীয় গ্রæপিং কোন্দল। আর তাই সচেতন মহলে নানা আশঙ্কাও বিরাজ করছে। নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ প্রশাসনও এ ব্যাপারে সজাগ। তাই তারা ১০২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯৩টিকেই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
সোমাবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুর রহমান।
এদিকে সিলেট নির্বাচন অফিসের উর্ধ্বতন একটি সূত্র জানায়, গোলাপগঞ্জে উপনির্বাচন হলেও আমাদের প্রস্তুতি কোন ফাঁকফোকর নেই। কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন। কোথাও কোন কেন্দ্র দখল হলে বা দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হবে। এমন সিদ্ধান্তই তারা সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক কর্মকর্তাকে জানিয়ে দিয়েছেন।
গোলাপগঞ্জে সুন্দর এবং গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা প্রতিটি সচেতন মানুষের সহযোগীতা চেয়েছেন।
সিলেট প্রতিদিন