সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে উপহারের ঘর বন্ধক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জুন ২০২২, ৩:২১ অপরাহ্ণ
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সুদের টাকা পরিশোধ করতে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর বন্ধক দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বানিয়াচং সদরের ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের বুরুজ পাড়া এলাকায়। জানা গেছে, বানিয়াচং সদরের ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের অন্তর্গত বুরুজ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৎসজীবী হরিদাস সরকার। নিজের বসতভিটা না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে একটি ঘর পেয়েছেন। নানা কারণে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ায় ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের শেখের মহল্লা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম মিয়া মাসিক সুদে হরিদাস সরকারকে ৯০ হাজার টাকা দেন।
পরবর্তীতে মাসিক লাভের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সুদের অংশ আসল টাকার দ্বিগুণ হয়ে যায়। হরিদাস এত টাকা দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করলে কিছুদিন আগে কাশেম মিয়া হরিদাসের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। এমনকি হরিদাস সরকারকে তুলে নেয়ার জন্য লোকজন নিয়ে আসে। শেষ পর্যন্ত এলাকার কয়েকজন মুরুব্বির মাধ্যমে একই গ্রামের পঞ্চানন সরকার ও রতীন্দ্র সরকার নামের দুই ব্যক্তি ২ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর বন্ধক রাখার শর্তে ২ লাখ টাকা প্রদান করেন।
এই বিষয়ে পঞ্চানন সরকারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, হরিদাস সরকারকে কাশেমের হাত থেকে বাঁচাতে আমরা এই টাকা দিয়েছি। আমাদের কাছে লিখিত স্ট্যাম্প রয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা মুত্তাকিম বিশ্বাস, শরীফখানী মহল্লার কাশেম মিয়াসহ আরও অনেকেই অবগত আছেন। উনাদের সম্পৃক্ততায়ই চুক্তিপত্র করা হয়েছে।
এদিকে কাশেম মিয়া সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছোট বেলা থেকে কাশেম মিয়া শেখের মহল্লা এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে মাসিক বেতনে কাজ করতেন। একপর্যায়ে কাশেম শেখের মহল্লায় বসতবাড়ি তৈরি করে নেয়। শুরু করে নগদ টাকার রমরমা ব্যবসা। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকজনের ছত্রছায়ায় কাশেম এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তার জন্মস্থান ময়মনসিংহে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরজমিন তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।