বন্যায় সুনামগঞ্জে ভেঙেছে ২৭২ কিলোমিটার রাস্তা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ মে ২০২২, ১২:৫১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
বন্যায় সুনামগঞ্জের ৫ উপজেলায় সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুধু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়কের প্রায় দেড়শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। একটি সেতু ও সড়কের দুটি অংশ ভেঙে সুনামগঞ্জ-দোয়ারা ও ছাতকের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ছাড়া প্রায় ২৭২ কিলোমিটার সড়ক ভেঙেছে, কোথাও বা খানাখন্দ হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংশ্নিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে সুনামগঞ্জ-দোয়ারা-ছাতকের দোহালি ইউনিয়নের রামনগরের পাশের সেতু আকস্মিকভাবে ঢলের স্রোতে ভেসে যায় গত ১৭ মে। এ ছাড়া ১৫ থেকে ১৯ মের মধ্যে এই সড়কের কাঞ্চনপুরের পাশের দুটি অংশ এবং রাজনপুর গ্রামের পাশের অংশ ভেঙে যায়। এতে যোগাযোগ ভোগান্তিতে পড়েন কাঞ্চনপুর, রাজনপুর, চণ্ডিপুর, ইধনপুর, প্রতাপপুর, বাজিতপুর, কাটাখালীসহ দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ও দোহালী ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
রামপুর সেতুর পাশের প্রতাপপুরের বাসিন্দা সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আজাদ রুমান বললেন, সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত দোয়ারাবাজারের লাখো মানুষের ভোগান্তি হবে। সুনামগঞ্জ-ছাতকের সরাসরি যান চলাচলও বন্ধ থাকবে।
গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক ছাড়াও গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক, সুনামগঞ্জ-কাছিরগাতী-বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ ও নিয়ামতপুর-তাহিরপুর সড়কে পানি ওঠায় ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রাং দাবি করেছেন।
শহরতলির বাদেরটেকের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চালবন্দ আসতে চার অংশে সড়কের বেহাল দশা। সড়কে চলাচলে দুর্বিষহ অবস্থা। অনেক কষ্ট করে চলাচল করছে মানুষ। বিশ্বম্ভরপুরের ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা টিটু দাস বলেন, তাহিরপুর-নিয়ামতপুর সড়কটি এমনিতেই ভাঙাচোরা। বন্যায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ধসে গেছে। পানি কমলে এই সড়ক দিয়ে চলাচল কঠিন হয়ে যবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে সুনামগঞ্জের গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা তথ্যানুযায়ী প্রায় ২৭২ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়েছে। তিনটি ব্রিজ কালভার্ট বিধ্বস্ত হয়েছে। একটি রাবার ড্যামের ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮০ থেকে ৯০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। পানি কমে গেলে ক্ষতির প্রকৃত হিসাব বলা যাবে।