জগন্নাথপুরে জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় কাঁদা: জনদুর্ভোগ চরমে!
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মে ২০২২, ৫:০১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
শুকনো মৌসুম কিংবা বর্ষা, রাস্তার প্রায় ৪ মিটার অংশ জুড়ে সারা বছরই অল্প বৃষ্টি হলে থাকে কাদা। কাদা আবৃত থাকা এই রাস্তাটি এখন বর্ষা মৌসুমে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। অবশেষে বাজারের ব্যবসায়ীরা চাঁদা তুলে রাস্তার কাজ করানো উদ্যোগ নিয়েছেন।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ঢাকা-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে ফেরী ঘাট থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সামন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বেহাল দশা যেন দেখার কেউ নেই! অথচ এই সড়ক দিয়ে ঢাকা গ্রামী কয়েকটি বাস সহ উপজেলার হাজার হাজার জনসাধারন চলাচল করেন। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী এই সড়কটি নিয়ে বার বার বিভিন্ন পত্রিকায় বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখা লেখি হওয়ার পরও টনক লড়ছে না কর্তৃপক্ষের।
পার্শ্ববর্তী রানীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, সিনিয়র মাদ্রাসা সহ কলেজ যাতায়াতকারী শত শত শিক্ষার্থীরা এই রাস্তা আসা যাওয়া করে থাকে। বর্তমানে বৃষ্টির জন্য কাদামাটি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা পাকাকরণের দাবি এখনো পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। শুধু দায়সারা আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা জুড়ে কাদা থাকায় সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছেন না। রাস্তার আশপাশের ব্যবসায়ীরা কষ্ট করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বিকল্প রাস্তা না থাকায় এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা জানান, এমনিতেই এখানে সারাবছর অল্প বৃষ্টি হলে কাদা থাকে কিন্তু বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তটি সম্পূর্ণ চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এলাকার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে কষ্ট হচ্ছে। বর্তমান বর্ষা মৌসুম এই ৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাওয়া আসা করতে পরনে থাকা জামা কাপড় নষ্ট হচ্ছে।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, শুধু এই রাস্তার কারণে বাজারের কাষ্টমার কমে যাচ্ছে। বাজারে এসে পরনের কাপড় টিক রাখা যায় না। মালামাল নিয়ে যাওয়া যায় না। এই রাস্তা পাকা করা হলে বাজার ব্যবসায়ীরা বেশী লাভবান হবে। তারা আরো জানান অবশেষে চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কার করা হবে। কেননা বারবার বলার পরও কোন কাজের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছেনা। বর্তমান চেয়ারম্যান ক্ষমতায় আসার পর আশার আলো দেখলেও কাজ করানো উদ্যোগ দেখতে পারছেন না বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মো. ছদরুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নের এই রাসস্তাটির বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। এ বিষয়ে আমি প্রস্তাব পাঠিয়ে দিয়েছি। আশা করি অল্প কিছু দিনের মধ্যে রাস্তার কাজের অনুমোদন আসলে কাজ শুরু করতে পরবো।