ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ নিয়ে সর্বশেষ যা জানালো আবহাওয়া অফিস
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫২:৪১,অপরাহ্ন ১০ মে ২০২২
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে ‘অশনি’। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে থাকা অশনি গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।
ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশের দিকে থাকলেও আজ মঙ্গলবার এটি দিক পরিবর্তন করতে পারে। তবে এরই মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি ২০ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে আসছে। তবে প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
এদিকে সোমবার রাতে আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের বর্তমান গতিপথ ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশের দিকে রয়েছে। তবে মঙ্গলবার এর গতিপথ কিছুটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায়ও উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া সারাদেশেই কমবেশি বৃষ্টি হবে। আবার ঘূর্ণিঝড়টি ভূমিতে আসার আগেই নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আমরা সব সময়ই এর গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছি।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ সময় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গতকাল রাত থেকেই উপকূলীয় এলাকাগুলোতে অতি ভারি বর্ষণ শুরু হয়েছে। পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ ২০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।