সুরমা সেতুতে টিকটক ভিডিও নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অন্তত ৩০
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ মে ২০২২, ১:৪৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
ছাতকে সুরমা নদীর উপর নবনির্মিত সেতুতে টিকটক ভিডিও ধারণ করা নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা।
গুরুতর আহত সায়মন (১৩), তাহসিন (১৬), তানজিদ (১৪) সহ কয়েকজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত হুশিয়ার আলী (৪০), আবু তালেব (১৫), দেলোয়ার হোসেন (৩৬), রাব্বানী মিয়া (১৮ )সহ অন্যান্য আহতদের দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন অনেকেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাতকের সুরমা নদীর উপর নব নির্মিত সেতুতে ইতিমধ্যে পর্যটকরা নিয়মিত আসা যাওয়া শুরু করেছেন। বেশ কয়েক দিন ধরে এ সেতুতে স্থানীয় ও দূর দুরান্তরের পর্যটকদের আনাগোনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এখানে ভীড় আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনসহ দূর-দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকদের ভিড়ে এ সেতুটি এখন অঘোষিত পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এরই মধ্যে সেতুতে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বখাটেদের আনাগোনা,নানা উৎপাতসহ অশ্লীলতা। নাচ,গান,নৃত্য, টিকটক চলছে সেতুতে নিত্যদিন। প্রতিদিনই অভিযোগ উঠেছে টিকটক সহ বিভিন্ন নাম নিয়ে গড়ে ওঠা কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা সেতুতে আগত দর্শকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। টিকটকারদের উৎপাতে অতিষ্ট সেতুতে আগত দর্শনার্থী পুরুষ মহিলারা। শিশুরা ও এখানে নিরাপদ নয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সেতুতে এমনই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে বিকেল ৫ টার দিকে পৌর এলাকার বাঁশখালা ও নোয়ারাই ইউনিয়নের বারকাহন গ্রামের দু’কিশোরের মধ্যে মোবাইল ফোনে টিকটক ভিডিও ধারন ও ছবি তোলা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু- গ্রামের লোকজনের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আশ পাশের লোকজন ও।
এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন লোক আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ছাতক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে তারা টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে সংঘর্ষ থামাতে সক্ষম হয়। এব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরাজ মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।