জগন্নাথপুরে মাছুম হত্যা: মায়ের কান্না দেখে কাঁদছে অবুঝ যমজ শিশুও
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ এপ্রিল ২০২২, ৭:৫৫ অপরাহ্ণ
দুই বছরের যমজ দুই সন্তান কে কোলে নিয়ে কাঁদছেন মা। মায়ের কান্না দেখে কিছু না বুঝে সন্তনরাও কাঁদছে। তাদের কান্নায় কাঁদছেন প্রতিবেশী ও উপস্থিত লোকজন। এমন হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতরণা ঘটে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বাড়ী জগন্নাথপুর এলাকায়। শনিবার বিকেলে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
পুলিশ এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানান,মাসুৃম মিয়া ও তার চাচাতো ভাই হাসান আহমেদের পরিবারের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মনোমানিল্য চলছিল। হাসান মিয়ার পরিবারের লোকজন বৃহস্পতিবার বিকেলে মাসুম মিয়ার মা রিনা বেগম ও বোন মোছাঃ মাছুমা বেগমকে গালিগালাজ করতে থাকে। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর বাজার থেকে বাড়ি এসে মাছুম মিয়া প্রতিবাদ করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় হাসান আহমেদের লোকজনের হামলায় মাছুম মিয়া মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্তের পর বিকেলে বাড়ী জগন্নাথপুর বাড়িতে এলে কান্নার রোল পড়ে।
দুই সন্তান কে কোলো নিয়ে আর্তনাদ করছেন স্ত্রী শাবলী বেগম ও মা রিনা বেগম।
পরিস্থিতি একটু শান্ত হলে মোছাঃ শাবলী বেগম বলেন, ২০১৯ সালের ৮ আগষ্ট মাছুম মিয়া কে ভালোবেসে বিয়ে করেন তিনি। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই বছরের দুই যমজ ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি এখন তাদের নিয়ে কীভাবে বাঁচবেন।বার বার মুর্চা গিয়ে বলছিলেন তুমি আমায় ছেড়ে কোথায় গেলে।
মা রিনা বেগম সন্তান হারিয়ে পাগলের প্রলাপ করে বলছিলেন তোমরা আমার ছেলে কে এনে দাও।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানুর রহমান জানান তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে পরস্পর আত্বীয় দুই পরিবারের মধ্যে মারধরের ঘটনায় চিকিৎসাধীন যুবকের মৃত্যুর পর তার মা রীনা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে হাসান আহমেদ (২৪) তার ভাই হোসাইন আহমেদ (২০) মা সাহেদা বেগম (৩৮)দাদা মনফর আলী(৭০) কে গ্রেপ্তার করে।