ছাত্রীদের শরীর স্পর্শ করতে না দিলে পরীক্ষায় ফেল করান ডা. রফিকুল!
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:১৯:৫৮,অপরাহ্ন ১৪ এপ্রিল ২০২২
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিরাজগঞ্জ মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন, মানসিক নির্যাতন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ বার্তা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক ও হোস্টেল সুপারভাইজার ডা. কাজী রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী সিরাজগঞ্জ সদর এমপি, স্বাস্থ্য অধিদফতর (ঢাকা) পরিচালক প্রশাসনসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের মেডিকেল অফিসার ডা. কাজী রফিকুল আলম দীর্ঘদিন যাবত হোস্টেল শিক্ষার্থীদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ভয় দেখিয়ে ক্লাসে আপত্তিকরভাবে শরীরে স্পর্শ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীল বার্তা প্রদান করেন। এসব প্রস্তাবে রাজি না হলে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা ও মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি প্রদান করেন। তার আচরণে শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। এসব বিষয়ে একাধিকবার প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে অবগত করা হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। ডাক্তার রফিকুল ইসলামের এসব কুকর্মের কারণে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশুনা বাদ দিয়ে হোস্টেল ছেড়ে চলে গেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর পিতা ইমরান হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ দাখিলের পরে আমাদের মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের কোনো কথা শোনেন নাই বরং অভিযোগ তুলে নিতে শিক্ষার্থীদের চাপ দেন।
সুপারভাইজার ডাক্তার রফিকুল আলম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার মান-সম্মান নষ্ট করার জন্য তারা বিভিন্ন দফতরে মিথ্যা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের অধ্যক্ষ ডাক্তার আকিকুন নাহার জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের আলোকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।