৬১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সেই জিয়াউদ্দিন গ্রেপ্তার
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৬:৪১,অপরাহ্ন ১২ এপ্রিল ২০২২
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
প্রতারণা করে সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকশ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের অভিযোগে জিয়াউদ্দিন ওরফে জামানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বিষয়টি জানিয়েছেন। একটি খুদে বার্তায় তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কারওয়ানবাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফ করে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে রোববার ‘৬১০ কোটি টাকা হাতিয়ে জিয়াউদ্দিন লাপাত্তা’ শিরোনামে সমকালে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ে।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জিয়ার গ্রামের বাড়ি। রাজধানীর বনানীর ৪ নম্বর রোডে একটি ফ্ল্যাটে তার আস্তানা। ভুঁইফোঁড় ২০ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মোট কর্মচারী ছয় থেকে সাতজন। তার ঠকবাজির ধরন কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেশের আরেক ‘প্রতারণার লিজেন্ড’ রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিমকেও হার মানায়। প্রতারক সাহেদের মতো সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেন জিয়া। টাইলস ব্যবসার বিশেষজ্ঞ হিসেবে একাধিক টেলিভিশনে টকশোতেও অংশ নিতেন।
ফোশান গ্রুপের ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারলে শুরুতেই চোখ আটকে যাবে নজরকাড়া এক টাইলসের বিজ্ঞাপনে। আদতে ক্রেতাদের মন ভোলাতে বিজ্ঞাপনে এমন চাকচিক্য। এই শিল্প গ্রুপ খুলে যিনি শিল্পপতি সেজেছেন, তিনি জিয়াউদ্দিন; কোম্পানিটির চেয়ারম্যান। আভিজাত্যের জানান দিতে হাঁকান দামি ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি, হাতে রোলেক্স ব্র্যান্ডের ঘড়ি। দুবাইয়ে তার সেকেন্ড হোম। ‘নৈতিকতা ও সততা ব্যবসার মূলমন্ত্র’- এমন স্লোগান করেছেন লালন।
ফোশান গ্রুপের ওয়েবসাইটের তথ্য দাবি করছে, কোম্পানিটির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ২০টির বেশি। অনেক তালাশ করেও কোনোটির মেলেনি অস্তিত্ব। হরেক প্রতিষ্ঠানের নামে ‘প্রতারণার দোকান’ খুলে ৬১০ কোটি টাকা হাতিয়ে জিয়াউদ্দিন ছিলেন নিখোঁজ।