সিলেটে হাইড্রোলিক ব্যবহার করলেই ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১০:১৪,অপরাহ্ন ০৫ এপ্রিল ২০২২
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ও শব্দদূষণ কমাতে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) ট্রাফিক বিভাগ নগরে হাইড্রোলিক হর্নেরর ব্যবহার বন্ধে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
গত মার্চ মাসে সিলেট মহানগরীতে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের জন্য মোট ২৫ টি যানবাহনের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন’ ২০১৮ অনুযায়ী প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়েছে এবং মোট ১৭টি যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে।
ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কশিশনার ফয়সল মাহমুদ পিপিএম, বলেন সাধারণভাবে শব্দের মানমাত্রা ৪০ থেকে ৪৫ ডেসিবল। তার চেয়ে বেশি মাত্রার শব্দ মানুষের শ্রবণশক্তি লোপ, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। আর হাইড্রোলিক হর্ন ১০০ ডেসিবলের বেশি মাত্রার শব্দ সৃষ্টি করে। আর এই শব্দদূষণ সৃষ্টিতে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরও বলেন, হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে হলে, এটা যে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, এই বিষয়টি সবাইকে বোঝাতে হবে। বিশেষ করে যানবাহনের মালিক ও চালকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে। ইতোমধ্যে ট্রাফিক বিভাগ, এসএমপি, সিলেট বেশ কয়েকটি উদ্যেগ গ্রহণ করেছে তন্মধ্যে প্রতি দুই মাস পর পর “ট্রাফিক পক্ষ পালন” চালক ও পথচারীদের নিয়ে পথসভা, মাইকিং ও লিফলেট বিতরণসহ জনসচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৪০ ধারা অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি শব্দ নিয়ন্ত্রণের মাত্রা বা সমজাতীয় অন্য কিছু পরিবর্তন করেন, তবে ৮৪ ধারা অনুযায়ী তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ড তবে অন্যূন ১(এক) বছর, বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে এসএমপি, ট্রাফিক বিভাগ হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার বন্ধের জন্য ১ম বার অপরাধের ক্ষেত্রে ১৫,০০০/- ও ২য় বার একই অপরাধের ক্ষেত্রে ৩০,০০০/- টাকা জরিমানা নির্ধারণ করেছে।
ফয়সল মাহমুদ আরও বলেন, ট্রাফিক বিভাগ, এসএমপি, সিলেট সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে আপ্রাণ চেষ্টা ও অভিযান অব্যাহত রেখেছে, এতে মহানগরীর সম্মানিত নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত কাম্য।