রমজানেও ভোজ্যতেলে দুশ্চিন্তায় ভোক্তা
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৫৪:১২,অপরাহ্ন ০১ এপ্রিল ২০২২
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
পর্যাপ্ত মজুত আছে। তবু বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট কাটছে না। ভোক্তারা মনে করছেন, সরকার যদি এখন শক্ত হাতে বাজার মনিটরিং বজায় না রাখে এবং দায়ীদের চিহ্নিত করতে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে রমজানেও ভোজ্যতেলের তেলেসমাতি থামবে না।
প্রতি বছর রোজা শুরুর দিন কয়েক আগেই ইফতার-সেহরির প্রয়োজনীয় উপকরণ কেনাকাটা করে থাকেন মালিবাগের বাসিন্দা আলফাজ উদ্দিন। এ বছরও দিন চার বাকি থাকতেই তিনি বাজার থেকে চিনি, ছোলা, খেজুর, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, বেসন, খেসারির ডালসহ রমজাননির্ভর আরও কিছু পণ্য কিনলেন।
প্রতিবারের এসব পণ্য পরিমাণে দুই থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত কেনা হলেও এবার সবই কিনলেন এক কেজি করে। কারণ সবকিছুরই দাম চড়া।
বিপত্তি দেখা দিল ভোজ্যতেল কিনতে গিয়ে। তিনি দোকানিকে এক লিটার সয়াবিন তেলের দুটি বোতল দিতে বললেন। হাতে পাওয়ার পর লেবেলে দাম দেখে তিনি অবাক। সরকার এই ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি ৮ টাকা কমালেও এখানে এক লিটার বোতলের দাম সেই আগের ১৬৮ টাকাই।
আলফাজ কারণ জানতে চাইলে দোকানি জানালেন, নতুন দামের পণ্য আসেনি। আগে বেশি দামে কেনা পণ্যই আছে তার কাছে।
উপায় না দেখে আরেক দোকানে গেলেন এই ভদ্রলোক। কিন্তু সেখানে নতুন দামে পেলেন শুধু পাঁচ লিটারের বোতল। এক লিটারের বোতল নেই। বাধ্য হয়ে তিনি পকেট খালি করে পাঁচ লিটার তেলই কিনলেন।
রাজধানীর প্রায় সব কাঁচাবাজার কিংবা গলির মোড়ের দোকানে একই অবস্থা। কোথাও এক লিটার পাওয়া গেলে মেলে না পাঁচ লিটারের বোতল, আবার কোথাও শুধু দুই লিটার বোতলজাত সয়াবিনই রাখা হয়েছে, যা বিক্রি করা হচ্ছে আগের নির্ধারিত দামে। একই অবস্থা পাম তেলেও। লিটারে দাম তিন টাকা কমানো হলেও সব জায়গায় মেলে না পাম তেল। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে, তা আগের বাড়তি দামে কেনা উল্লেখ করে বিক্রি হচ্ছে প্রতিলিটার ১৪৫ টাকা বা স্থানভেদে তারও বেশি দামে। অথচ পাম তেলের সরকার নির্ধারিত দাম হলো ১৩০ টাকা।
এদিকে গত বছর রমজানে যে বোতলজাত সয়াবিন তেল কেনা হয়েছে ১৩০ টাকায়, এবার তার ওপর ৩০ শতাংশ ভ্যাট কমানোর পরও সরকার নির্ধারিত দাম ধরা হয়েছে ১৬০ টাকা। এই দামেও তেল কেনার সুযোগ সবখানে হচ্ছে না।
অর্থাৎ ভোজ্যতেল নিয়ে ভোক্তার দুশ্চিন্তা শেষ হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক বাজারে দরবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দেশে গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে লাগামহীন বেড়েছে দাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ভোজ্যতেলের আমদানি, পরিশোধন ও বিক্রি পর্যায়ের ৩৫ শতাংশ ভ্যাট থেকে ৩০ শতাংশই প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে পণ্যটির লিটারপ্রতি দামও সরকার বেঁধে দেয়।
আমদানিকারক, পরিশোধন ও বিপণনকারীরাও সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেল বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয়। তারপরও বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট কাটছে না। ভোক্তারা মনে করছেন, সরকার যদি এখন শক্ত হাতে বাজার মনিটরিং বজায় না রাখে এবং দায়ীদের চিহ্নিত করতে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে রমজানেও ভোজ্যতেলের তেলেসমাতি থামবে না।
সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, কোনো পণ্যের দাম তখনই সহনীয় থাকে কিংবা সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হয়, যখন পণ্যটির পর্যাপ্ত সরবরাহ সর্বত্র বজায় থাকে। কিন্তু বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ সংকটই এখনও দূর হয়নি।
ভোজ্যতেলে সরবরাহ সংকট ও দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করতে রাজি হননি সরকারের কর্তাব্যক্তিরা।
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আমদানি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, কোথাও সরবরাহ সংকট আছে, কোথায় দাম বাড়তি। পণ্যটির সরবরাহ বাড়াতে সরকার ভ্যাট কমিয়েছে, দামও নির্ধারণ কিরে দিয়েছে। পাশাপাশি সর্বত্র মনিটরিং জোরদার করেছে। এসবের প্রভাবে বাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি দামও কমে এসেছে। বাজারে এখন সরকার নির্ধারিত দামেই ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। তবে কোথাও কোথাও একটু বেশি হতে পারে, তার কারণ হলো আগের বাড়তি দামে কেনা মাল অনেকের স্টকে রয়ে গেছে, সেগুলো ফুরানোর আগে হয়তো অনেকে মাল ওঠাতে চাইছে না। তবে আমরা বেশ সতর্ক আছি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশে চাহিদার তুলনায় ভোজ্যতেলের বেশি মজুত আছে। সরবরাহ চেইনও স্বাভাবিক। সারা দেশে সরকারের জোরদার মনিটরিং অব্যাহত আছে। তাই রমজানে ভোজ্যতেল নিয়ে কারও দুশ্চিন্তার কোনো কারণ দেখছি না।’
একই কথা জানিয়েছেন ভোজ্যতেলের আমদানিকারক, পরিশোধন ও বিপণনকারী এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরাও।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও টি কে গ্রুপের পরিচালক মোস্তফা হায়দার জামিল বলেন, ‘দেশে এখন যে তেল চলে এসেছে, সেগুলো আমদানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডিউটি ও ভ্যাট আগেই পরিশোধ করা হয়েছে। সরকারের উচিত তা ফিরিয়ে দেয়া। তাহলে আমরাও লোকসানের হাত থেকে বেঁচে যাই।’
মৌলভীবাজার ভোজ্যতেল পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা বলেন, ‘ভোজ্যতেল নিয়ে এত বেশি কথা হচ্ছে, শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। দুশ্চিন্তা করবেন না, রমজানকে সামনে রেখে দেশে মজুত ও প্রবেশাধীন তেল দিয়ে ভেসে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হবে।’
ব্যবসায়ীদের অ্যাপেক্স বডি এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আশ্বস্ত করে বলেন, ভোজ্যতেলের সরবরাহ পুরো রমজান পর্যন্ত ঠিক থাকবে। মিলমালিকরা ইতিমধ্যে সেটি নিশ্চিত করেছেন। তবে সেটি কতটা বজায় থাকল, সরকারের পাশাপাশি এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে তার মনিটরিং করা হবে। কেউ কারসাজি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হলে এফবিসিসিআই সরকারকে সাধুবাদ জানাবে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি লিটারপ্রতি ৮ টাকা বাড়িয়ে বাজারে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। সে দর অনুযায়ী বাজারে এতদিন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের সরকার নির্ধারিত দাম ছিল ১৬৮ টাকা এবং পাঁচ লিটার সয়াবিনের দাম ৭৯৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৩ টাকা।
৩০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের পর সেই দাম কমে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৬০ টাকা, পাঁচ লিটারের ৭৬০ টাকা এবং প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৩৬ টাকা ও পাম অয়েলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট তুলে নেয়া হয়েছে। আমি বিশ্বাসও করি, দেরিতে হলেও বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে এর জন্য সরকারের অব্যাহত নজরদারি এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিকল্প নেই।’
কেন প্রতি বছর ভোজ্যতেলে সংকট
প্রতি বছর রমজানসহ বিভিন্ন সময় ভোজ্যতেলে সংকটের প্রধান কারণ পণ্যটির চাহিদার ৯৯ ভাগই পূরণ করতে হয় আমদানির মাধ্যমে।
আমদানির পুরো প্রক্রিয়াটি বিশ্ববাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় রপ্তানিকারক দেশগুলোর উৎপাদন পরিস্থিতি, মজুত, স্থানীয় বাধ্যবাধকতা এবং বড় দেশগুলোর বাড়তি চাহিদার কারণে ভোজ্যতেলের দাম প্রায় সারা বছরই অস্থিতিশীল থাকে।
এ ছাড়া ভোজ্যতেলের ব্যবসা ও বিনিয়োগ খুবই ব্যয়বহুল। এ কারণে দেশে এ খাতে বিনিয়োগ রয়েছে হাতে গোনা দশ-এগারোটি কোম্পানির। এদের মধ্যে পাঁচটি কোম্পানিই (সিটি, মেঘনা, টি কে, এডিবল অয়েল এবং এস আলম) ভোজ্যতেল চাহিদার ৮৫ শতাংশের বেশি নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে বাজারে একটি যৌথ একচেটিয়াত্ব (মনোপলি) তৈরি হয়েছে। বৈশ্বিক সংকটসহ যেকোনো কারণ দেখিয়ে চাইলেই তারা পরিকল্পিতভাবে বাড়াতে পারে ভোজ্যতেলের দাম। তখন সরকারের শুধু মনিটরিং ছাড়া করার কিছু থাকে না।
তবে এসবের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে করোনা পরিস্থিতির দীর্ঘসূত্রতায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়া এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।
চাহিদা ও উৎপাদন পরিস্থিতি
দেশে ভোজ্যতেল হিসেবে প্রচলিত আছে সয়াবিন, সরিষা, পাম, সূর্যমুখী, রাইস ব্র্যান অয়েল। এর মধ্যে সয়াবিন ও পাম অয়েল সর্বাধিক ব্যবহৃত ভোজ্যতেল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা আছে, যার বিপরীতে সয়াবিন, সরিষাসহ অন্যান্য তেলবীজের স্থানীয় উৎপাদনের পরিমাণ ২ লাখ ৩০ হাজার টন।
এর মধ্যে সয়াবিনের উৎপাদন মাত্র এক লাখ টনের। আর পাম অয়েল উৎপাদন দেশে হয়-ই না।
এদিকে রান্না ছাড়াও বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরিতে ভোজ্যতেল ব্যবহার হয়। তবে দেশে এ ভোজ্যতেলের মধ্যে মোট চাহিদার ৭০ শতাংশ জোগান দেয় খোলা তেল। খোলা তেলের মধ্যে ৫০ শতাংশ সরবরাহ মেলে পাম তেল এবং বাকিটা খোলা সয়াবিন
রমজানে চাহিদা কত
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, প্রতি মাসে দেশে ১ লাখ ৩০ হাজার টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। তবে এই চাহিদা বছরের বাকি ১১ মাসের জন্য। রমজানে এই চাহিদা আড়াই থেকে তিন গুণ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই হিসাবে প্রতি বছর রমজানে আড়াই থেকে প্রায় ৩ লাখ টন ভোজ্যতেলের প্রয়োজন পড়ে।
আমদানি ও মজুতের পরিমাণ
রমজান সামনে রেখে যে ভোজ্যতেলের চাহিদা তৈরি হবে দেশে, তার চেয়ে বেশি পরিমাণ ভোজ্যতেল এবার মজুত রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট আমদানি হয়েছে ২১ লাখ ৭১ হাজার টন। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে ১৮ লাখ টন। এর সঙ্গে স্থানীয় উৎপাদন সরিষাসহ অন্য তেলবীজ থেকে আরও উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার টন। সব মিলিয়ে গত বছরের উদ্বৃত্তসহ এবার ২ লাখ টনের বেশি ভোজ্যতেল মজুত রয়েছে।
তারও প্রমাণ মেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে। সূত্র জানিয়েছে, এ মুহূর্তে মিলগুলোতে দুই লাখ টন ভোজ্যতেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ২ লাখ ৩২ হাজার টন তেল দেশে প্রবেশের প্রক্রিয়ায়, যা রোজা শুরুর আগেই চলে আসবে। এসব তথ্য-উপাত্ত বলছে, দেশে ভোজ্যতেলে কোনো সংকট নেই।
কোম্পানিগুলোর পরিশোধন সক্ষমতা
দেশে ১১টি ভোজ্যতেল পরিশোধন কোম্পানি রয়েছে। এদের সবার উৎপাদন সক্ষমতা সমান নয়। কোনো কোনো কোম্পানি একাই তিন-চারটির সমান পরিশোধনে সক্ষম। তবে সবকটি কোম্পানি মিলে দেশে ভোজ্যতেলের মোট পরিশোধন সক্ষমতা রয়েছে ৫০ লাখ টনে। অর্থাৎ কোম্পানিগুলো চাহিদার আড়াই গুণ বেশি পরিশোধন করতে পারে।
সংকটে টিসিবির যে উদ্যোগ
দেশে ভোজ্যতেল নিয়ে যখন সর্বত্র হাহাকার। সরকার একের পর এক নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েও পারেনি সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণ করতে। তখন কার্যকর অস্ত্র হিসেবে সরকার ব্যবহার করে সরকারি বিপণন প্রতিষ্ঠান টিসিবিকে। সুলভ মূল্যে ব্যাপকভাবে সয়াবিন সরবরাহে নামে প্রতিষ্ঠানটি।
এরই ধারাবাহিকতায় এক কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি দামে দুই দফায় দুই লিটার করে চার লিটার সয়াবিন তেল তালিকাভুক্ত পরিবারগুলোর কাছে সরবরাহের উদ্যোগ নেয় টিসিবি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানান, ‘বর্তমানে টিসিবির কাছে ৪ কোটি লিটার তেল মজুত আছে। এখান থেকে রোজার আগে ও রোজার মধ্যে ১ কোটি পরিবারকে চার লিটার করে ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করব আমরা। অর্থাৎ এ প্রক্রিয়ায় টিসিবির মাধ্যমে ৩৮ হাজার টন সয়াবিন সরবরাহ করা হবে।’
নিউজবাংলা