সিলেটে তাহেরীর মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩০:৪৬,অপরাহ্ন ০১ এপ্রিল ২০২২
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেটে ইসলামী বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবুল কাশেম এ নির্দেশ দেন। মামলার শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী। গত ২৪শে মার্চ বালাগঞ্জের কয়েকজনসহ সিলেট, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৫ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের আবেদন জানিয়েছিলেন মাওলানা তাহেরী।
তাহেরী জানান, অভিযুক্তরা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য বিভিন্ন ফেসবুক, ইউটিউব ও ওয়েব সাইটে প্রচার করায় দেশসহ বিশ্বব্যাপী তার সম্মান নষ্ট হচ্ছে। যার জন্য সমাজে চলাফেরা ও মুখ দেখানো লজ্জাকর হয়ে পড়েছে। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয় তাহেরিকে ইসলামী সম্মেলনে উপস্থিত করানোর কথা বলে গ্রামবাসীকে বিশ্বাস করানোর জন্য ৈৈপলনপুর মসজিদের ইমাম ও নুরী মিলে দুইটি বিকাশ নাম্বারে ত্রিশ হাজার ছয়শত টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সেন্ড করেন। যা তাদের পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং একজন বক্তার মান-সম্মান নষ্ট করে তাকে দেশ, জাতি ও সম্প্রদায়ের কাছে লজ্জিত করে।
এছাড়াও ৩৩ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে বালাগঞ্জে এক মাহফিলে মূর্খ বাউল বক্তা, তাহেরি না আসায় সিলেটে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ নানা ধরনের শিরোনাম দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হয়। এতে তাহেরি ও তার পরিবারের সম্মান নষ্ট হয়েছে। যা কোনো অর্থমূল্য দিয়ে মূল্যায়ন বা পূরণ করা অসম্ভব। আদালতের কাছে ন্যায়বিচারের স্বার্থে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন তাহেরি।
মামলার আসামিরা হলেন- সিলেটের বালাগঞ্জ পৈলনপুরের মইনুল ইসলাম, হাফিজ মুজিবুর রহমান, মসজিদের ইমাম ও খতিব ক্বারি জয়নাল আবেদীন, সিলেট অনলাইন টিভি নবীগঞ্জের রাজু আহমদ, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী নবীগঞ্জ সদরঘাটের শেখ শাহজাহান, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী হবিগঞ্জ লাখাইয়ের মুড়াকুড়ির আব্দুল কুদ্দুছ নুরী, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী তপু তরফদার, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী নিজাম আহমেদ আকরাম, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী, একে মিডিয়া সিলেট, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী নবীগঞ্জের দেওপাড়া সাতাইল গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে হাফিজ কামরুল ইসলাম জালালি, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার তুলাই শিমুল গ্রামের শেখ রাসেল, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চারগাছ গ্রামের আবদুল ফরহার ছেলে মোরশেদ শাহ, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার গুমগুমিয়া গ্রামের খালেদ আহমদের ছেলে এস. এ শামীম ও টিটিভি। এদিকে- গতকাল সিলেটের আদালতে আবেদনের শুনানি শেষে মামলার আবেদনটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট জাবের হোসাইন জানিয়েছেন, শুনানি শেষে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। শুনানিকালে আদালতে মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, মামলার শুনানি শেষে মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমাদের দাবি হচ্ছে যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের বিচার। আশা করি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য বেরিয়ে আসবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।