জগন্নাথপুরে ফসলরক্ষা বাঁধে ধস, শঙ্কায় কৃষক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মার্চ ২০২২, ৫:৪০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
জগন্নাথপুরে দুটি ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধ ধসে পড়েছে। ফলে হাওরের বোরো ধান নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ নিম্নমানের কাজ করায় সামান্য বৃষ্টিতে বাঁধ ধসে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নলুয়া হাওরের পোল্ডার—১ এর আওতাধীন মইয়ার হাওরের কলইকাটা নামক স্থানে ১৬ ও ১৭ নম্বর প্রকল্পের প্রায় ২০ ফুট বাঁধ দেবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে শ্রমিকরা মাটি ভরাটের কাজ করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলায় এবার তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দে ২৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে ১৫ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ করা হচ্ছে। এরমধ্যে ১৬ নং প্রকল্পে বরাদ্দ ১৩ লাখ টাকা এবং ১৭ নং প্রকল্পের বরাদ্দ ২০ লাখ টাকা।
গত শনিবার ও রবিবার রাতে বৃষ্টি হলে মইয়ার হাওরে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ দুটি ধসে যায়। এরআগেও ওই স্থানে আরও কয়েকবার মাটি ধসে পড়ে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন। কৃষকরা জানালেন, বাঁধ ভেঙে গেলে মইয়া ও নলুয়া হাওরের পুরো ফসল পানিতে তলি যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ঘটনাস্থলে ইকড়ছই এলাকার কৃষক মিজার কাজল মিয়া জানান, এ দুটি প্রকল্পের কাজ নিম্নমানের হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে বেড়িবাঁধগুলো ধসে গেছে। গত কয়েকদিনে আরো কয়েকবার বাঁধগুলো ধসে পড়ে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম জানান, হাওরের বেশ কয়েকটি বেড়িবাঁধে বালুমাটি ব্যবহার করা হয়েছে। বৃষ্টি হলে এসব বাঁধ ধসে ফসলহানির শঙ্কা রয়েছে। এর দায়ভার পাউবোকে নিতে হবে।
১৬ নং প্রকল্পের সভাপতি বিপ্লব চন্দ্র দাস বলেন, আমার বেড়িবাঁধ সামান্য অংশ ধসে গেছে। আমি সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
১৭ নং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, আমার প্রকল্পের বেড়িবাঁধটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এখানে একটি গর্ত রয়েছে। মাটি টিকছে না ফলে ধসে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমি সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী বলেন, এ দুটি প্রকল্প বার বার ধসে যাওয়ায় আমরা বিকল্প বেড়িবাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করছি।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম জানান, ক্ষতস্থানে কাজ চলছে।
জৈন্তাবার্তা