ভয় দেখিয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মার্চ ২০২২, ১২:১৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
দা দিয়ে গলা কেটে জবাই করে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সকালে উপজেলার সীমান্ত গ্রাম রাজাইয়ে এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযুক্তর নাম আবুল কালাম ওরফে স্পাই কাল্লু (৫২)। সে উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়নের রাজাই সীমান্ত গ্রামের মৃত লোকমান মুন্সির ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার সন্তানের জনক আবুল কালাম ওরফে স্পাই কাল্লু ভারতীয় বিএসএফের কথিত স্পাই (সোর্স) আন্ত:সীমান্তের ভারতীয় মাদক ও বিড়ি চোরাকারবারী হিসাবে এলাকায় পরিচিতি মুখ।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় ভিকটিমের পরিবার জানান, শনিবার সকালে উপজেলার রাজাই গ্রামের আবুল কালাম ওরফে কাল্লু প্রতিবেশী কয়লা শ্রমিক দম্পতির ১০ বছরের শিশু কন্যা স্কুল ছাত্রীকে মুরগীর বাচ্চা ধরার কথা বলে নিজ ঘরে ডেকে নেয়।
আরও জানান, এর পর বসতঘরে পরিবারে অন্যরা না থাকায় দা দিয়ে গলা কেটে জবাই করে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। মা-বাবা পরিবারের লোকজন কয়লা উক্তোলনে চলে গেলে, ফাঁকা বাড়িতে একা থাকার মেরে ফেলারও ভয় দেখানো হয় ওই স্কুলছাত্রীকে।
শনিবার বাদ মাগরিব মা-বাবা পরিবারের লোকজন নদীতে থেকে কয়লা উক্তোলন শেষে বাড়ি ফিরলে ধর্ষণের বিষয়টি ওই স্কুলছাত্রী জানায়।
শুধু শনিবার সকালেই ধর্ষণ নয় এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলায় সাত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন আবুল কালাম ওরফে কাল্লু ভয় দেখিয়ে আরও একবার ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলেও পরিবারের লোকজনকে জানায়।
শনিবার রাতে উপজেলার রাজাই গ্রামের ভিকটিমের মা-বাবা কয়লা শ্রমিক জানান, আমাদের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
শনিবার রাতে তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, স্কুলছাত্রীর বাবা-মা ভিকটিমকে সঙ্গে নিয়ে সশরীরে থানায় উপস্থিত হয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপরে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি।