কুলাউড়ায় ঋণগ্রস্থ ব্যবসায়ী দোকানে চিরকুট রেখে আত্মহত্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মার্চ ২০২২, ১০:১১ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার দক্ষিণ বাজারে চিরকুট রেখে নিজ দোকানে মঙ্গলবার ০৮ মার্চ গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ইন্দ্রজিত কুন্ডু (৪৪) নামক এক ঋণগ্রস্থ ব্যবসায়ী। খবর পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ব্যবসায়ী, পারিবারিক জানা যায়, ব্যবসায়ী ইন্দ্রজিত কুন্ডু মঙ্গলবার খুব ভোরে অথবা শেষ রাতের দিকে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইন্দ্রজিৎ স্টোরের ভেতরে একটি রডের সাথে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পাশর্^বর্তী সেলুনের লোকজন সকালে এসে দোকান খুলতে গিয়ে ইন্দ্রজিতের দোকানের শার্টার খোলা দেখতে পায়।
পরে পরিবারের লোকজন দোকান খুলে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় ইন্দ্রজিতের হাতের লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়।
চিরকুটে লেখা ছিলো, অর্থনৈতিকভাবে খুব কষ্টে আছি। ভাইদের সামার্থ্য আছে আমাকে ২-৩ লাখ টাকা দেয়ার কিন্তু তারা দেয়নি। আমি বড় ভাইদের কাছে অনেক টাকা পাবো। তারা আমায় কোন সাহায্য করেনি।
তিনি আরও লেখেন, লাভলী (স্ত্রী) বাপের বাড়ি যেতে চায়নি। আমি জুরে (জোরপূর্বক) তাকে পাঠিয়েছি। স্ত্রী লাভলী আর এক পুত্র সন্তান নিয়ে শহরের মাগুরা এলাকায় সুব্রত দেবের বাসায় ভাড়া থাকতেন ব্যবসায়ী ইন্দ্রজিত। সুইসাইড নোট অনুসারে সোমবার (০৭) মার্চ জোর করে স্ত্রী সন্তানকে শ^শুড় বাড়ি পাঠিয়ে দেন ইন্দ্রজিত।
কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম আতিকুর রহমান আখই জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। খোঁজ নিয়ে জেনেছি বিভিন্ন এনজিওসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ঋণগ্রস্থ ছিলেন ব্যবসায়ী ইন্দ্রজিত। ধারণা করা হচ্ছে ঋণে জর্জরিত হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে তিনি কাউকে তাঁর মৃত্যুর জন্য অভিযুক্ত করেননি।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।