স্বপ্নের ইউরোপ যাওয়া হলো না সাজ্জাদের, পূরণ হচ্ছে বাবা-মায়ের শেষ আকুতি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ৪:৩৭ অপরাহ্ণ
বাবা-মায়ের শেষ আকুতি ছেলেকে চোখের দেখা দেখে নিজ হাতে দাফন-কাফন করার। সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে যাচ্ছে আগামীকাল শনিবার। নিজ গৃহে আসছে সাজ্জাদের লাশবাহী কফিন।
লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের সাজ্জাদের মরদেহ আগামী শনিবার বাংলাদেশে আসছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নিহত সাজ্জাদের পরিবার।
নিহত সাজ্জাদের পরিবার জানায়, এরই মধ্যে পর্যায়ক্রমে সাত বাংলাদেশি নাগরিকের একাধিক মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রদূত ও কাউন্সেলর (শ্রমকল্যাণ) মো. এরফানুল হকসহ একটি প্রতিনিধিদল সিসিলি প্রদেশের এগ্রিজেন্ডো এলাকায় সাজ্জাদকে পাঠানোর আনুষ্ঠানিকতা ইতোমধ্যে শেষ করেছে। আগামী শনিবার নিহত সাজ্জাদের মরদেহ বাংলাদেশে পৌঁছার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে নিহত সাজ্জাদের চাচাতো ভাই ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সরকারের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তা ছাড়া ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসেও কথা বলেছি। তারা আমাদের জানিয়েছে, মরদেহ শনিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপের কাছাকাছি স্থানে তীব্র ঠাণ্ডার কারণে ২৮০ বহনকারী একটি নৌকায় সাজ্জাদসহ সাত বাংলাদেশি নিহত হন।