সিলেটের জেল সুপারকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিলকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

এসময় ঢাকা ও রাজশাহীর দুই জেল সুপারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে কারা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ এবং অবৈধ ক্যান্টিন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদ করা অন্য দু’জন হলেন- ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবীর চৌধুরী ও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার হাবিবুর রহমান। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি একই অভিযোগ অনুসন্ধানে ঢাকা বিভাগের ডিআইজি প্রিজন্স টিপু সুলতান, ময়মনসিংহ বিভাগের ডিআইজি প্রিজন্স জাহাঙ্গীর হোসেন, কারা সদর দপ্তরের জামালপুর জেলা কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান ও বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ইউনুস জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
এছাড়া ওইদিন সাবেক আইজি প্রিজন্স আশরাফুল ইসলাম ও সাবেক অতিরিক্ত আইজি প্রিজন্স ইকবাল হাসানকে তলব করে চিঠি দেয়া হলেও তারা উপস্থিত হননি। ২০২০ সালের শুরুর দিকে অভিযোগটি অনুসন্ধান করে দুই সদস্যের টিম গঠন করে দুদক। টিমের অন্য সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। আর তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

দুদকের পাঠানো নোটিসে অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ নিয়ে কারা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ, অর্থের বিনিময়ে বন্দিদের অবৈধ সুবিধা, অর্থ লেনদেন এবং অবৈধ ক্যান্টিন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অ’ভিযোগ রয়েছে তাদের বি’রুদ্ধে।