৯ ঘণ্টা একান্ত সময় কাটিয়ে ভিন্ন রূপে ‘কামরুল’, কী ঘটেছিল সেই তরুণীর ভাগ্যে
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২:১৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
প্রদত্ত পরিচয়পত্র বলছে, নাম কামরুল হাসান। যথারীতি শার্ট-প্যান্টের সঙ্গে পরনে ছিল কানটুপি ও মাস্ক। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় তিন ব্যাগভর্তি মালামালসহ হাজির হন চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানার বড়পোল এক্সেস রোডের আবাসিক হোটেলে। সঙ্গে থাকা তরুণীকে পরিচয় দেন নিজের স্ত্রী বলে। এরপর হোটেল রেজিস্টারে পরিচয়পত্র উপস্থাপন করে চলে যান কক্ষে।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা। অর্থাৎ প্রায় ৯ ঘণ্টা পর ভিন্ন পোশাকে কক্ষ থেকে বের হন কথিত কামরুল হাসান। এরপরই কক্ষের দরজায় তালা লাগিয়ে দ্রুত হোটেলের সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে চলে যান।
তার চলে যাওয়ার পর কেটে গেছে ছয়টি ঘণ্টা। তখনো নিশ্চুপ হোটেলের ৮০২ নম্বর কক্ষ। রাত সাড়ে ১১টায় হোটেল বয় গিয়ে ডাকাডাকির পরও মেলেনি কোনো সাড়াশব্দ। এ অবস্থায় পুলিশকে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। পরে শুক্রবার সকালে কক্ষটি থেকে ওই তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, কামরুল হাসান পরিচয়ে কক্ষটি ভাড়া নেন ওই যুবক। সঙ্গে থাকা তরুণীকে নিজের স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়ে ওই কক্ষে ঢোকান। এরপর সুকৌশলে গলা ও পেটে ছুরিকাঘাত করে খুন করেন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী কামরুল কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার মুগজি গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে।
হালিশহর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খুনের আলামত ও লাশের পরিচয় গোপন করতে খুনের সময় পরিধেয় পোশাক পাল্টে ভিন্ন পোশাকে পালিয়ে যান কামরুল পরিচয়ধারী যুবক। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। খুন হওয়া তরুণীর পরিচয় ও সেই যুবককে বের করার চেষ্টা চলছে।