বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে টানা পঞ্চম ম্যাচসেরা সাকিব
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:১৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
ব্যাটিং কিংবা বোলিং- তার প্রতিদ্বন্দ্বী যেন তিনিই। বিপিএলের চলতি অষ্টম আসর যতই গড়াচ্ছে, ততই ব্যাটে-বলে ভয়ংকর হয়ে উঠছেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আজ শুক্রবার মিরপুরে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার বিপক্ষেও দেখা গেল সেই বিধ্বংসী সাকিবকে। বল হাতে ভালো করার পর তিনি ব্যাট হাতে রুদ্ররূপে ধরা দেন।
অপরাজিত হাফসেঞ্চুরি করে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে তিনি জিতে নিয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ৮ উইকেটের বিশাল এই জয়ে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার প্লে অফ আরও অনিশ্চিত করে ফেলল ফরচুন
রান তাড়ায় নেমে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন মুনিম শাহরিয়ার এবং ক্রিস গেইল। মুনিম আজও বেশ আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন। অন্যদিকে গেইল ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। শফিউলের করা পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ১১ বলে ১ চারে ৭ রান করা গেইল আউট হলে ২৩ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। এরপর মুনিম শাহরিয়ারও ২৫ বলে ৩ চার ৩ ছক্কায় ৩৭ রান করে কায়েস আহমেদের বলে শামসুর রহমানের তালুবন্দি হন। উইকেটে জুটি বাঁধেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দ্রুতই জমে ওঠে জুটি। বরাবরের মতো সাকিব আজও আগ্রাসী মেজাজে ধরা দেন। ২৯ বলে ৬ চার ২ ছক্কায় ১৭৫.৮৬ স্ট্রাইকরেটে ৫১* রানে অপরাজিত থাকেন। তাকে সঙ্গ দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত ২৮ বলে ২ চারে ২৮ রান করেন। ৮ উইকেট আর ২৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ফরচুন বরিশাল।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৮ রান তোলে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। শুরুতে তারা বেশ বিপদে পড়ে গিয়েছিল। দলীয় ৭ রানেই শফিকুল ইসলামের বলে বাজে শটে বিদায় নেন সমালোচনার নিশানায় থাকা মোহাম্মদ নাঈম (৯ বলে ৬)। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন তামিম ইকবাল ও জহুরুল ইসলাম। কিন্তু ৭ বলে ২ করা জহুরুলকে বোল্ড করে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন আফগান তারকা মুজিব উর রহমান। এরপর অধিনায়ক বনাম অধিনায়ক লড়াই। মঞ্চে আবির্ভাব বরিশাল অধিনায়ক সাকিবের। তার ঘূ্র্ণিতে মেহেদি রানার তালুবন্দি হন ঢাকা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (৩)।
সাকিবের দ্বিতীয় শিকার শামসুর রহমান (৩)। এর মাঝেই ৩৮ বলে ফিফটি পূরণ করেন তামিম। মূলতঃ তার ব্যাটেই ঘুরছিল ঢাকার রানের চাকা। তার সঙ্গী হন অল-রাউন্ডার শুভাগত হোম। দুজনের ৩৭ বলে ৪১ রানের জুটি ভাঙে তামিমের বিদায়ে। ৫০ বলে ৯ চার ১ ছক্কায় ৬৬ রান করা ঢাকার ওপেনারকে নুরুলের গ্লাভসবন্দি করেন মেহেদি হাসান রানা। এরপর শুধু শুভাগত হোম (২৭ বলে অপরাজিত ২১*) ছাড়া আর কোনো ব্যাটার দুই অংকই ছুঁতে পারেননি! শেষ ৩০ বলে এসেছে মাত্র ৩৫ রান; পড়েছে ৫ উইকেট! ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ব্র্যাভো, শফিকুল আর মেহেদি রানা। ২১ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।