সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি নিয়ে অসন্তোষ
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৩৭:৩৯,অপরাহ্ন ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
বিদ্রোহের পর এখন তুষের আগুনে পুড়ছে সিলেটের স্বেচ্ছাসেবক দল। কেন্দ্র ১৩টি কমিটি অনুমোদনের পর ৯টি কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন খোদ সাংগঠনিক টিম প্রধানরা। তাদের দাবি, সংগঠনের আদর্শিক পরীক্ষিত, ত্যাগীদের বাদ দিয়ে সুবিধাবাদিরা কমিটি দখলে নিয়েছে। ফলে এসব কমিটি অবিলম্বে বাতিলের দাবি তাদের। গত শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর মিরবক্সটুলা এলাকার এক বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাংগঠনিক টিম প্রধানরা এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট সদর ও কোম্পানীগঞ্জ উপাজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক টিম প্রধান তানভীর চৌধুরী তাহসিন, বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক টিম প্রধান মো. রুনু আহমদ, বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলা সাংগঠনিক কমিটি প্রধান আব্দুর রউফ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক টিম প্রধান মো. ইমাম উদ্দিন, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক টিম প্রধান মুমিনুল হক রাহী, জকিগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক টিমপ্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন পারভেজ।
এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়কদের মধ্যে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিফতাহুল কবির মিফতাহ, লুকমানুজ্জামান, রজব আহমদ, আনোয়ার হোসেন খান প্রমুখ।
মহানগর নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মোরশেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ তুহেল, খিজির হোসেন এনু, তুহিন নাগ, আফছর খান, আবু সালেহ মো. তাহের, বৈঠকে ফোনে সম্মতি জানান, মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম ইবনে রাজ্জাক রুমেল ও জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এবং কানাইঘাটের সাংগঠনিক টিম প্রধান আবু আহমদ আনসারী।
সভায় নেতারা বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্র থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের যে ১৩টি ইউনিটের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে ৯টি কমিটিই সুবিধাবাদীদের দখলে। বাদ পড়েছেন ত্যাগী ও আদর্শিক নেতাকর্মীরা।
তারা বলেন, সাংগঠনিক কমিটির মতামত উপেক্ষা করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ও পৌর, বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর, সিলেট সদর, জকিগঞ্জ উপজেলা ও পৌর, দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষিত এসব ইউনিটের প্রতিটি কমিটিতেই ত্যাগী, সাহসী এবং প্রকৃত জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী নেতৃবৃন্দকে বঞ্চিত করে সুবিধাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে যারা মামলা হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কারাগারের নির্যাতন বুকে নিয়ে এখনো রাজনীতির ময়দান চষে বেড়াচ্ছেন, তাদের বাদ দিয়ে একপেশে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এটি দলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ইতোমধ্যে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সভা থেকেই সাংগঠনিক টিম প্রধানরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব দেওয়ান জাকির হোসেন খানকে ফোন দিয়ে কমিটি গঠন নিয়ে ব্যাখ্যা চান।
তখন দেওয়ান জাকির বৈঠকে উপস্থিত হয়ে জানান, ৯টি ইউনিট কমিটির ব্যাপারে তিনি অবগত ছিলেন না। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা তাকে আশ্বস্ত করেছেন এ কমিটিগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। একই কথা বলছেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র আহ্বায়ক মিফতাহুল কবির।