শাবি আন্দোলন : নিয়ন্ত্রণ কার হাতে?
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৩:০৮,অপরাহ্ন ২৪ জানুয়ারি ২০২২
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
টানা ১০ম দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্র্থীরা। তাদের প্রথম দাবি ছিল বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষের দুর্ব্যবহার ও হলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে। প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ থেকে শুরু হয় ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের একদফা দাবি। ধীরে ধীরে আন্দোলনের গতি পাল্টাতে থাকে। কঠোর থেকে আরও কঠোর অবস্থানে চলে যান শিক্ষার্থীরা। পুলিশী নির্যাতনের প্রতিবাদে এক দফা এক দাবি বাস্তবায়নে শুরু করেন জীবন নিয়ে খেলা।
পরে বারবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে কয়েক দফা সমাধানের চেষ্টা করেন। শাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দও চেষ্টা করেন। কিন্তু ফলাফল কিছুই হয়নি।
পরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি তাদের সাথে কথা বলেন। শিক্ষার্থীদেরকে ঢাকায় গিয়ে আলোচনায় বসার জন্য আহবান করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা প্রথমে ঢাকায় যেতে রাজি হলেও কিছুক্ষণ পরে তারা যাবেন না বলে জানান।
এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, বাইরে থেকে শিক্ষার্থীদের কেউ না কেউ ইন্ধন দিচ্ছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাবির এক শিক্ষীর্থী বলেন আমরা প্রথমে হলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলেছিলাম কিন্তু আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছ আমার মনে হচ্ছে জামায়াত – বিএনপি আন্দোলনে ইন্ধন দিচ্ছে।
সচেতন মহল মনে করছেন শিক্ষার্থীদের হাতে আর আন্দোলনের নেতৃত্ব নেই । তা না হলে তারা বারবার তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাবেন কেন? তারা চাইলে ঢাকায় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনায় বসতে পারতেন, কিন্তু তারা যাননি। প্রথমে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকলেও পরবর্তীতে না করে দেন।
পরবর্তীতে গতকাল শুক্রবার রাতে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে ভার্চুয়ালে প্রায় দেড় ঘন্টা কথা বলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তাতেও কোন সমাধান হয়নি। ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগতিক হচ্ছে।
তথ্যানুযায়ী- বর্তমান শিক্ষার্থী সহ দেশ বিদেশে কর্মরত সাবেক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সর্বশেষ তথ্য পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের তহবিলে আসা অর্থের পরিমাণ দাড়িয়েছে ৭ লাখ ২৪ হাজার ৮১৮ টাকা, যা দান করেছেন ৩১২ জন দাতা। তারমধ্যে এখন পর্যন্ত মোট খরচ হয়েছে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯ টাকা। এরমধ্যে আছে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচও।
শুক্রবার রাতে আয়োজিত খাবারের মধ্যে ১১০ কেজি চাল ও ৪০টি মোরগ রান্না করা হয়েছিল। এর আগে অনশনে যাওয়া ২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে হাসপাতালে রয়েছেন ১৫ জন।
মোট কথা, শিক্ষার্থীদের শুরু করা আন্দোলন এখনো তাদেরই হাতে আছে কি না এ নিয়ে সন্দিহান সচেতন মহল।