বড়লেখায় শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন নিবন্ধন ফরমে স্বাক্ষর দিতে টাকা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক!
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ৮:৪৩ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় একটি স্কুলের শিক্ষার্থীর করোনা ভ্যাকসিনের নিবন্ধন ফরমে স্বাক্ষর প্রদানে কেছরীগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান বেআইনীভাবে শিক্ষার্থী প্রতি ২০ টাকা করে আদায় করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
জানা গেছে, বড়লেখার ৩৭টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তত্ত¡াবধানে শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। শিক্ষার্থীদের টিকা কার্ডের নির্ধারিত ফরমে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর প্রদানের পর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদান করছেন।
কেছরীগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ থেকে ১৭ বছরের ৪৭০ জন শিক্ষার্থী টিকার জন্য নিবন্ধিত হয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান নানা খরচের দোহাই দিয়ে শিক্ষার্থী প্রতি ২০ টাকা করে আদায় করতে থাকেন। কোনো শিক্ষার্থী টাকা না দিলে তিনি তার নিবন্ধন ফরমে স্বাক্ষর করছেন না।
এ বিষয়ে কিছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষুব্ধ হন। অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক ২০ টাকা না দিলে টিকা ফরমে স্বাক্ষর করেননি। পরে বাধ্য হয়ে তারা টাকা পরিশোধ করে স্বাক্ষর আদায় করেন।
কেছরীগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদ আহমদ খান বলেন, অডিটোরিয়ামের (টিকা প্রদান কেন্দ্র) ভাড়া ও সেখানে যাতায়াত বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি তিনি ২০ টাকা করে নিয়েছিলেন। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আদায়কৃত টাকা ফেরত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তা ফেরত দেবেন।
বড়লেখা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলাম বলেন, করোনা ভ্যাকসিনের নামে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে একটি পয়সাও নেয়ার নির্দেশনা নেই। অভিযোগ পেয়েই তিনি ওই প্রধান শিক্ষককে দ্রæত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টিকার দোহাই দিয়ে আদায়কৃত টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। টাকা ফেরত না দিলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।