মেয়র আরিফের মাইন্ডগেম!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২৩:৩৬,অপরাহ্ন ১২ জানুয়ারি ২০২২
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
আবারও আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে মেয়র আরিফ। বাইরের কেউ নয়, এবার তার দিকে সমালোচনার তীর ছোঁড়ছেন নিজ দলের নেতাকর্মীরা। মৃত্যুপথযাত্রী দলীয় প্রধানের চিকিৎসার দাবীতে যখন আন্দোলনের মাঠ গরম করতে প্রস্তুত সাধারণ নেতাকর্মী, তখন সিলেট বিএনপির অভ্যন্তরিন কোন্দলের অমন নগ্ন প্রকাশ মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছেনা দলটির নেতাকর্মীরা।
শহরতলীর টুকেরবাজারে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে বুধবার বিকেলে। এ সমাবেশের শুরু থেকেই চলছিল আলোচনা সমালোচনা। স্থান নির্বাচন এবং বিশেষ করে আমন্ত্রণ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল বলে দলটির নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়।
বিশেষ করে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টি গণমাধ্যমেও প্রকাশ হয়েছে। তবে শেষ মুহুর্ত তিনিও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন।
তবে এক্ষেত্রে আরিফুল হক চৌধুরীও খেলেছেন রীতিমতো পাকা খেলোয়াড়ের মতো। সিসিক’র বর্ধিত পানির বিল নিয়ে বুধবার বিকেল তিনটাতেই তিনি নগরভবনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বসেন।
জাতীয়তাবাদী ঘরানার নেতাকর্মীরা বিষয়টাকে মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না। তাদের ধারণা, সমাবেশের আয়োজকদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসাবেই আরিফ সমাবেশের দিন এবং নির্ধারিত সময়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।
তাদের যুক্তি, এটিতো আরও একদিন পিছিয়ে করা যেত বা একদিন এগিয়ে নিয়েও আসতে পারতেন মেয়র। কিন্তু তিনি ঐ পথে হাটার প্রয়োজনই মনে করেন নি।
জাতীয়তাবাদী ঘরানার অনেকেই মনে করছেন, বিএনপির সমাবেশে দাওয়াত না দেয়ায় রাজনৈতিক মাইন্ড গেম খেললেন মেয়র আরিফ। সমাবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করতেই তার এই কৌশল। অথচ তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
অবশ্য আরিফ শেষ মুহুর্তে সমাবেশে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু এতে সমালোচকদের মুখ কিন্তু বন্ধ হয়নি।
বুধবারের সমাবেশে সিলেট বিএনপি ভালোই শো-ডাউন করেছে। প্রশাসনের কড়া নজরদারি থাকলেও কোন বাধা ছিলনা।
টুকেরবাজারে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সিলেট প্রতিদিন