নিজ সন্তানকে ধর্ষণ: বিএনপি নেতা কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জানুয়ারি ২০২২, ৬:৪১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
নিজ শিশু সন্তানকে ধর্ষণ মামলায় ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. ইব্রাহীম রহমান রুমিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন রুমি।
তার পক্ষে অ্যাড. তানজির মান্নান, মিজানুর রহমান জামিন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মাহমুদা আক্তার জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান মাহমুদা আক্তার।
এরআগে, গত ১ ডিসেম্বর নিজের চার বছরের কন্যা সন্তানকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন রুমির স্ত্রী।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ২৬ জুন পারিবারিকভাবে ডা. ইব্রাহীম রহমান রুমির (৩৫) বিয়ে হয়। এরপর বিবাদীর সঙ্গে সংসার জীবনে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বনিবনা না হওয়ায় গত বছরের ২৬ আগস্ট রুমির সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটে।
আরও উল্লেখ করেন, রুমির সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর গত বছরের ২৩ মার্চ বিকেল আনুমানিক সাড়ে চারটায় তার অনুপস্থিতিতে চার বছরের শিশু কন্যাকে উত্তরার বাসা থেকে নিয়ে যান রুমি। গত ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রুমি তার কন্যাকে কলাবাগানের বাসায় নিজের হেফাজতে রাখেন। শিশুটির মায়ের অভিযোগ, ওই সময় ফেরত চাইলেও তার কন্যাকে নিতে দেননি রুমি। পরে এ বছরের ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আদেশে কন্যা শিশুকে নিজের হেফাজতে নেন তিনি।
বাদী অভিযোগ করেন, গত ১২ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৮টায় আবারও শিশু সন্তানটিকে নিজের কলাবাগানের বাসায় আনেন ইব্রাহিম রহমান রুমি। পরদিন ১৩ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে শিশুর মা কলাবাগান থেকে চার বছরের শিশুটিকে উত্তরায় নিজের বাসায় ফিরিয়ে আনেন। বাসায় আনার পর পরনের পোশাক পরিবর্তনকালে মেয়ের শরীরে নির্যাতনের ছাপ দেখতে পান তিনি। এজাহারে শিশুটির ওপর শারীরিক নিপীড়ন ও নিগ্রহের অভিযোগ বর্ণনা করেন বাদী।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ মার্চ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর এবং ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিবাদীর বর্তমান ঠিকানার বাসায় আমার মেয়ের অবস্থানকালে বিভিন্ন সময়ে মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেন। এরপর গত ২৭ নভেম্বর বিকালে নিপীড়নের শিকার শিশু সন্তানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান তার মা। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শিশুটিকে ওসিসিতে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) ভর্তির জন্য রেফার করেন। ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর নির্যাতনের শিকার শিশুটির যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।