অবনতির দিকে সিলেটের করোনা পরিস্থিতি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
আবারও টালমাটাল গোটা বিশ্ব। করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের ঢেউ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে পরিস্থিতি এখনো অনেকটা স্বাভাবিক হলেও দিনে দিনে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সিলেট বিভাগের অন্যান্য জেলার চেয়ে সিলেটেই রোগী শনাক্ত হচ্ছেন তুলনামূলক বেশী। আপাতত পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হলেও মার্চ এপ্রিল নাগাদ তার মারাত্মক অবনতির আশংকা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এখনই সর্বোচ্চ সতর্ককতার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
মহামারি করোনার ভাইরাস কোভিড-১৯ রূপ পাল্টাচ্ছে অত্যন্ত ঘনঘন। কখনো ডেল্টা রূপে কখনোবা ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্ট, ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট ইত্যাদি রূপে আরও বেশী শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসছে। প্রাণ যেমন কেড়ে নিচ্ছে তেমনি ভোগাচ্ছে নানাভাবে।
এখন এই মহামারির নতুন রূপ ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্ক চলছে গোটা বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশেও ইতিমধ্যে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
সিলেটে এখনো করোনার এই রূপ শনাক্ত হয়েছে বলে জানা যায়নি। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রায় প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে।
আজ শনিবার ( ৮ জানুয়ারি ) সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগজুড়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭ জনের। এদের মধ্যে সিলেট জেলারই ১৪ জন। অপর ৩ জন হবিগঞ্জের। একজন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রোগী। মোট ৫৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এদের শনাক্ত করা হয়েছে। শতকরা হার ৩ দশমিক শূণ্য ৯।
এসময়ে সিলেটের হাসপাতালগুলোতে করোনা চিকিৎসার জন্য ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯। আর সুস্থ হয়েছেন ২ জন।
এর আগের দিন সিলেটজুড়ে শনাক্ত হয়েছিলেন ১৩ জন। এদের মধ্যে সিলেট জেলারই ছিলেন ৮ জন। মৌলভীবাজার জেলায় শনাক্ত হয়েছিলেন ৪ ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে শনাক্ত হয়েছিলেন ১ জন। মোট ৮০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তাদের শনাক্ত করা হয়েছিল। শতকরা হার ১ দশমিক ৬১ ভাগ। সেদিন সুস্থ হয়েছিলেন ৩ জন।
বৃহস্পতিবার শনাক্ত হয়েছিলেন আরও বেশী, ২২ জন। তাদের মধ্যে ১২ জন সিলেট জেলার আর ৯ জন ছিলেন মৌলভীবাজারের। অপরজন ওসমানী হাসপাতালের রোগী। মোট ৭৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় এই ২২ জনের করোনা ধরা পড়ে। শতকরা হার ২ দশমিক ৮৮। সেদিন সুস্থ হয়েছেন ৪ জন। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৯ জন।
বুধবার ( ৫ জানুয়ারি ) সিলেট বিভাগজুড়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে মোট ১৯ জনের। তাদের মধ্যে সিলেট জেলারই ছিলেন ১৬ জন। মৌলভীবাজারের ছিলেন ২ জন। অপরজন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রোগী। মোট ৫৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় এদের শনাক্ত করা হয়। শতকরা হার ৩ দশমিক শূণ্য ৪। সেদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৮ জন। আর করোনা থেকে সুস্থ হয়েছিলেন মোট ১০ জন।
এ চার দিনে কারও মৃত্যু না হলেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে। এ অবস্থায় এখনই সতর্ক হওয়া জরুরী বলে অভিমত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার ও বারবার হাতধোয়র প্রতি জোর দিচ্ছেন তারা।