পাবলিক বাসে চড়ে ঢাকায় এলেন মতিয়া চৌধুরী!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
বৃহস্পতিবার থেকেই একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটি আন্তজেলা বাসের জানালায় বসে এক নারী। সামনের দিকে তাকিয়ে আছেন, দেখছেন কোন কারণে বাসটি আটকে আছে, কেন এখনো ছাড়ছে না। রাস্তার অপর প্রান্ত থেকে মোবাইলে তোলা এই ছবিটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকটা তোলপাড় তৈরি হয়েছে।
প্রথমে যারা ছবি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন তাঁরা বলছেন, নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলায় মেধাবী শিক্ষার্থী, দরিদ্র অসহায় শীতার্ত মানুষ ও বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে পাবলিক বাসে চড়ে ঢাকায় ফিরছেন বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিরও প্রধান, প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু জীবন যাপন খুব সাধারণ।
গণমাধ্যমকর্মী বুলবুল এই তথ্য দিয়ে ছবিটি ফেসবুক হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। এরপর ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক শরিফুল হাসান ছবিটি শেয়ার করে ছবির নিচে উপরোক্ত তথ্যগুলো জুড়ে দিয়েছেন। তাঁর পোস্টে অনেকেই শরিফুল হাসানের তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘রেগুলার গেলে কথা ছিল! মধ্যবিত্ত যেমন কালেভদ্রে ফাইভ স্টারে যায়, সেরকম বড়লোকেরা হঠাৎ একদিন লোকাল বাসে উঠলে শিরোনাম হয়ে যায়।’ শরিফুল হাসান এর উত্তরে লিখেছেন, ‘মতিয়া আপা নিয়মিতই বাসে চড়ে বাড়িতে যান। তার জীবনযাপন জানলে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই।’
শরিফুল হাসান লিখেছেন, ‘পাবলিক বাসে চড়ে ঢাকায় ফিরছেন মতিয়া চৌধুরী। এ জন্যই তিনি ব্যতিক্রম।’
নিজের অতীতের একটি ঘটনাকে স্মরণ করে তিনি লিখেছেন, ‘মতিয়া আপার বাসায় একবার আমার যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তার রাজনৈতিক দর্শন বা ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে কথা হতেই পারে। কিন্তু তার সততা সাদামাটা জীবন এগুলো নিয়ে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই। আর এই সাধারণ জীবনযাপনই তাকে অসাধারণ করে তুলেছে। জানি বিলাসী জীবন যাপন করা রাজনীতিবিদরা তাদের কাছ থেকে কিছু শিখবে না। সৈয়দ আশরাফ, মতিয়া চৌধুরীদের জন্য তাই আজীবন ভালোবাসা।’
আরেক নেটিজেন প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘একটা ছবি দেখেই অনেক কিছু বলে দিলেন অথচ উনি ১৫-২০ বছর মন্ত্রী ছিলেন আর নালিতাবাড়ী-নকলা এমনকি শেরপুর জেলার উন্নয়ন এর জন্য কোনো ছিটেফোঁটা কাজও করেন নাই। উনার মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি থাকার পরও শেরপুর জেলা উন্নয়ন এর দিক থেকে অনেক পেছনে। না আছে রেললাইন, না আছে মেডিক্যাল কলেজ, না আছে বিশ্ববিদ্যালয়।’
শরিফুল হাসান এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন, ‘মন্ত্রী হিসেবে কৃষি ক্ষেত্রে তার সাফল্য অভাবনীয়। তিনি যে সারা দেশের কথা ভেবেছেন, অন্যদের মতো শুধু এলাকার কথা ভাবেননি, এটাও সততা।’