নিউজিল্যান্ড টেস্টের নায়ক এবাদতের গ্রামে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৩৮ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :
এলাকার ছেলে এবাদত হোসেন চৌধুরী নিউজিল্যান্ড টেস্টে দারুণ পারফরম্যান্স করে ইতিহাস সৃষ্টি করায় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এবাদতের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পরিবারের পাশাপাশি গ্রামের মানুষ যেনও খুশিতে আত্মহারা। এই খুশিতে বুধবার রাতে কাঠালতলী বাজারে আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ ও কেক কেটে আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। এর আয়োজন করেছে কাঠালতলী সমাজ কল্যাণ পরিষদ।
মিছিলে সামাজিক সংগঠন কেএসকেপির উপদেষ্টা আবুল হাসান, খালেদ আহমেদ, জাগরণ সমাজকল্যাণ যুব সংঘের সভাপতি শাহরিয়ার জামান খালেদ, কেএসকেপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দেলওয়ার হোসেন চৌধুরী ইমন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহাবুদ্দিন লিটন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সাজুর নেতৃত্বে মিছিল শেষে কেএসকেপির উপদেষ্টা সৌদি আরব প্রবাসী আতিকুর রহমান আতিকের সৌজন্যে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
কাঠালতলী ক্রিকেট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ ও সোনার বাংলা ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি নাজিম উদ্দিন বলেন, এবাদতের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আজ বাংলাদেশ অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছে। সে আমাদের দেশের, এলাকার মুখ উজ্জল করেছে। তাঁকে নিয়ে আমরা গর্বিত, আনন্দিত।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এবাদত হোসেন চৌধুরীর বাবা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বর্ডার গার্ডে (বিজিবি) চাকরি করতেন। আর মা সামিয়া বেগম চৌধুরী গৃহিনী। ভাইবোনের মধ্যে এবাদত হোসেন চৌধুরী দ্বিতীয়। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি তাঁর আলাদা টান ছিল। স্থানীয় বিভিন্ন ক্রিকেট ক্লাবে খেলেছেন এবাদত। ভালো বোলিং করতেন বলে এলাকার বাইরেও তার নামডাক ছড়িয়ে পড়ে। এসএসসি পাশ করে ২০০৮ সালে সৈনিক পদে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগ দেন।
সেখানেই চাকরির পাশাপাশি বিমানবাহিনীর নিয়মিত ভলিবল খেলতে শুরু করেন। কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি তার টান মোটেও কমেনি। ২০১৬ সালে রবি পেসার হান্টের শেষ রাউন্ডে ১৩৯.০৯ কিলোমিটার গতিতে বল করে সবাইকে চমকে দেন এবাদত। নজরে আসেন সবার। এরপর থেকে এবাদতকে আর পেছনে থাকাতে হয়নি। ২০১৯ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এবাদতের অভিষেক হয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই তার টেস্টে অভিষেক হয়। আর সেই নিউজিল্যান্ডের মাঠেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ইতিহাস গড়লেন তিনি।