সিলেটে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের সরব উপস্থিতি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৪০ অপরাহ্ণ
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সিলেট জেলার ১৮ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে। বুধববার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় এসব ইউনিয়নে ভোটগগ্রহণ শুরু হয়েছে, একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সকালে ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, শীত উপেক্ষা করে ভোট দিতে আসছেন ভোটাররা। তবে সকালের দিকে উপস্থিতি কম ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে ভোটারদের লাইন। নিজের ভোট নিজে দিতে পেরে ভালো লাগছে বলে জানিয়েছে ভোটাররা।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করছেন।
আজ পঞ্চম ধাপে সিলেট জেলার যে ১৮ টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হচ্ছে, সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউপি, বীরশ্রী ইউপি, কাজলসার ইউপি, খলাছড়া ইউপি, জকিগঞ্জ ইউপি, সুলতানপুর ইউপি, বারঠাকুরী ইউপি, কসকনকপুর ইউপি, মানিকপুর ইউপি। কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপি, দিঘীরপাড় ইউপি, সাতবাক ইউপি, বড়চতুল ইউপি, কানাইঘাট ইউপি, দক্ষিণ বানিগ্রাম ইউপি, ঝিংগাবাড়ি ইউপি, রাজাগঞ্জ ইউপি।
জকিগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ঘরনা স্বতন্ত্র প্রার্থী, জাতীয় পার্টি, জমিয়ত, ইসলামী আন্দোলনসহ স্বতন্ত্র মোট ৫০ জন। সাধারণ সদস্য পদে ৩৫১ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে মোট ৯৭জন প্রার্থী। এছাড়া কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬৩জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪২৭ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১০১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানা গেছে, যেসকল ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেসব ইউনিয়নের প্রতিটি উপজেলার জন্য নির্ধারিত ৪ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরেও কোথাও দুইজন, কোথাও তিনজন, এমনকি কোথাও পাঁচজন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন।
এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, আনসার, অঙ্গীভূত আনসারের ২২ জনের ফোর্স। পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের একটি করে টিম প্রতি ইউপিতে মোবাইল ফোর্স হিসেবে এবং প্রতি তিনটি ইউপির জন্য একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। প্রতি উপজেলায় র্যাবের থাকবে দুটি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং টিম, প্রতি উপজেলায় বিজিবির দুই প্লাটুন সদস্য থাকছে মোবাইল টিম হিসেবে। আর এক প্লাটুন নিয়োজিত রয়েছে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে।