কমলগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে সাধারণ ছুটি না থাকায় চা শ্রমিক ভোটাররা বিপাকে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ৭:৫২ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ৫ জানুযারি বুধবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এবার থাকছে না সাধারণ ছুটি। ফলে চা বাগানের চা শ্রমিক ভোটাররা পড়েছেন বিপাকে।
জানা যায়, উপজেলার ২২টি চা বাগানের প্রায় ৪০ হাজার ভোটার রয়েছেন। বুধবার চা-শ্রমিকেরা নিজেদের নির্ধারিত ছুটি থেকে ভোটের দিন ছুটি নিতে পারবেন বলে চা বাগান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানান। তবে এবারই প্রথম ভোটের দিন ছুটি থাকছে না বলে জানান চা শ্রমিকেরা। ফলে এদিন সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস ও ব্যাংকের মত চা বাগানগুলো খোলা থাকবে। এমতাবস্থায় চা শ্রমিক ভোটারদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জানান।
আলীনগর চা বাগানের চা ছাত্র যুব পরিষদের নেতা সজল কৈরী বলেন, এযাবৎকালে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলোর সময় চা বাগানে ছিল সাধারণ ছুটি। ফলে ছুটির মধ্যে থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে চা শ্রমিক ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেছে। আর এবার কাজের চাপ আর ভোটের চিন্তা দুটি মাথায় থাকলে সব চা শ্রমিক ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত নাও থাকতে পারেন। তিনি আরও বলেন, চা বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যেহেতু সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেনি তাই চা বাগান কর্তৃপক্ষও ছুটি দিচ্ছেন না।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির (আঞ্চলিক) কার্যকরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা বলেন, এ অবস্থায় চা শ্রমিক ভোটারেরা চিন্তায় পড়ে গেছেন। তারা যদি আনলিভ নেন তা হলে পরের সাপ্তাহিক ছুটির দিন কাজ করতে হবে। এটি নির্বাচনে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলতে পারে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী বলেন, কমলগঞ্জে ২২টি চা বাগানে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ভোটার রয়েছে। সাধারণ ছুটি না হলে সব চা শ্রমিক নিজেদের নির্ধারিত ছুটি থেকে একদিনের ছুটি নিয়ে ভোট দিবে কিনা তা নিয়ে তারা চিন্তিত। তারা আনলিভ নিলে আবার পরে কাজ করে তা পুষিয়ে দিতে হবে। এতে কিছুটা হলেও এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।
বিদেশী কোম্পানী ডানকান বাদ্রার্সের মালিকানাধীন আলীনগর চা বাগান ব্যবস্থাপক হাবিব আহমেদ চৌধুরী বলেন, সরকার যেহেতু সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেনি তাই ভোটের দিন চা শ্রমিকরা একদিনের আনলিভ নিয়ে ভোট দিতে পারবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ ছুটি নেই। এদিন ব্যাংকসহ সকল অফিস খোলা থাকবে। যারা ভোট গ্রহনের দায়িত্ব পালন করবেন তারা ব্যতীত বাকি কর্মচারীরা অফিস করবেন। এ অবস্থায় চা বাগানেও সাধারণ ছুটি নেই। চা বাগানে তারা তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভোটের ছুটি নিতে হবে।