আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: অস্ত্রধারী এরা কারা
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জানুয়ারি ২০২২, ৮:৩৪ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে বিএনপির মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলাকারী সেই অস্ত্রধারী কারা? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জেলা শহরজুড়ে। সংঘর্ষের সময় পিস্তল উঁচিয়ে হামলাকারী অস্ত্রবাজদের খুঁজে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
এ ছাড়া অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের খুঁজে বের করার দাবিও জানানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার করা হবে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি সরকারি ইসলামিয়া কলেজ মাঠে বিদেশে নিয়ে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে। দুপুর ২টার দিকে একটি মিছিল বিএ কলেজ রোডে পৌঁছলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে তিন যুবকককে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখা যায়। তবে গুলিতে কেউ আহত হয়নি। একই সঙ্গে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। সংঘর্ষ চলাকালীন প্রকাশ্যে অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষকে গুলি করায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অস্ত্রের ঝনঝনানি সুষ্ঠু রাজনীতির জন্য অশুভ সংকেত বলে মনে করছেন শহরবাসী। অবিলম্বে অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনকে অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু জানান, বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামী লীগ হামলা চালিয়েছে। এটি ন্যক্কারজক ঘটনা। সংঘর্ষ চলাকালীন প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করা সুস্থ ধারার রাজনীতির জন্য হুমকি। অস্ত্রের ব্যবহারে সিরাজগঞ্জের শান্তিপ্রিয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অবিলম্বে অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দাবি জানিয়েছেন এ নেতা।
তিনি বলেন, অস্ত্রধারীরা যে দলেরই হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ তালুকদার জানান, আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি। গোয়েন্দা সংস্থা ভিডিও দেখে অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার করবে। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। প্রকাশ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রে ব্যবহারের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পরে এ বিষয়ে জানানো হবে। সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম জানান, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। দ্রুত অস্ত্রধারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।