সিলেটে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ৫:৫২ অপরাহ্ণ
সিলেট নগরের জল্লার পাড় পয়েন্টে আরমান হোসেন (১৭) নামের এক কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত অনুমান সাড়ে ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরমান হোসেন পরিবারের সাথে নগরীর জল্লার পাড় ও জামতলা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। নিহতের পিতা আবুল কালাম আজাদ ওই এলাকায় এসির ওয়ার্কশপ নিয়ে ব্যাবসা করে আসছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামে।
নিহত আরমান হোসেন বর্তমানে ময়মনসিংহের একটি স্কুলে পড়ালেখা করে। এরআগে সে সিলেট নগরীর কাজির বাজার মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিলো।
করোনাকালীন সময়ে মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার পরিবার আরমানের নানাবাড়ি ময়মনসিংহের একটি স্কুলে নিয়ে ভর্তি করে, সেখান থেকে এবার সে অষ্টম শ্রেণী পাস করেছে বলে জানান নিহতের পরিবার। সে ভাই বোন ৩ জনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলো।
আরমানের পিতা আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার রাত অনুমান ১২টার দিকে তার ছেলে আরমান বাসা থেকে ওরস্যালাইন নিয়ে আসার জন্য জল্লারপাড় পয়েন্টে যায়। সেখানে যাওয়ার পর পর তার পুর্ব পরিচিত ৫-৬ জন ছেলে তাকে ডেকে নিয়ে পয়েন্ট সংলগ্ন ওয়াকওয়ের একটু ভেতরে নিয়ে সেখানে আরমানের শরীরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে তাকে রাস্তায় ফেলে যায়। এসময় তার চিৎকার শুনে পথচারীরা এগিয়ে এসে তাকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্হায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার আরমানকে মৃত ঘোষনা করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে নিহতের পিতা-মাতা সহ পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে আরমানে মৃতদেহ দেখতে পান।
এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট কতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ। তিনি জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার গভীররাতে এঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শিপলু নামক এক ব্যাক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার কারণ ও জড়িতদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। এঘটনায় নিহতের পিতা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ৬-৭ জনের নাম উল্লেখ সহ ১৫-১৬ জনকে আসামী করে সিলেট কতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
শুক্রবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।